কৈলাসে ফিরে গিয়েছেন দেবী উমা। এ বার তাঁর কন্যার আরাধনার পালা। আশ্বিন পূর্ণিমায় লক্ষ্মীপুজোর মধ্যে দিয়ে শেষ হয় দেবীপক্ষ। এ দিন বাড়িতে বাড়িতে পুজো পান সম্পদের দেবী। কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো হল বাড়ির মা-ঠাকুমাদের উৎসব। দিনভর উপোস করে তাঁরা দেবীর জন্য রচনা সামগ্রী প্রস্তুত করেন। গুড় জ্বাল দিয়ে নাড়ু, তক্তি বানান। খইয়ের মোয়া পাকান। এ পুজোর আয়োজনে বাহুল্যতা নেই। আছে আন্তরিকতা, আছে শিকড়ের যোগ, আছে পল্লী বাংলার ছোঁয়া।
কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হল আলপনা। দুপুর থেকে পিটুলি গোলার (আতপ চালের গুঁড়ো) আলপনা দেওয়ার পর্ব চলে। মেঝেতে, নিকানো উঠোনে লক্ষ্মীপেঁচা, ধানছড়া, শঙ্খ, পদ্ম, দেবীর পদচিহ্ন ইত্যাদি আঁকা হয়। পূর্ববঙ্গীয়দের মধ্যে আবার লক্ষ্মী পুজোর আলপনায় মাছেরও দেখা মেলে। লক্ষ্মীর পদযুগলের আলপনা দেওয়ার রীতিটি সর্বত্র দেখা যায়। বাড়ির মেয়ে-বউদের আঁকা লক্ষ্মীর পদচিহ্ন কোজাগরী পুজোর অবিচ্ছেদ্য অংশ। হালের ‘স্টিকার’ আলপনার যুগেও লক্ষ্মীর পদচিহ্নের জনপ্রিয়তা কমেনি।