প্রেজেন্টস্
Knowledge Partner
Fashion Partner
Wedding Partner
Banking Partner
Comfort Partner
Karwa Chauth Significance

দেশ জুড়ে করবা চৌথের তোড়জোড়, কী এই ‘করবা’? ‘চৌথ’-ই বা কী? চাঁদের সঙ্গেই বা কীসের সম্পর্ক এই ব্রতর?

প্রাথমিক স্তরে এই ব্রত মূলত সৈন্যদের স্ত্রীদের জন্য হলেও পরবর্তীতে এর জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে হিন্দু পরিবারের প্রতিটা ঘরে ঘরে।

আনন্দ উৎসব ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০২৫ ১৩:৪০
Share: Save:
০১ ১৩
যুদ্ধ ক্ষেত্রে স্বামী, বাড়িতে উদ্বেগের প্রহর গুনছেন স্ত্রী। সেই থেকেই শুরু… পেশায় সৈন্য স্বামীর মঙ্গল কামনায় স্ত্রীরা একটি বিশেষ উপবাস ব্রত পালন করতেন কার্তিক মাসের প্রথম পূর্ণিমার পরে কৃষ্ণপক্ষের চতুর্থী তিথিতে। এটিই হল করবা চৌথের ব্রত।

যুদ্ধ ক্ষেত্রে স্বামী, বাড়িতে উদ্বেগের প্রহর গুনছেন স্ত্রী। সেই থেকেই শুরু… পেশায় সৈন্য স্বামীর মঙ্গল কামনায় স্ত্রীরা একটি বিশেষ উপবাস ব্রত পালন করতেন কার্তিক মাসের প্রথম পূর্ণিমার পরে কৃষ্ণপক্ষের চতুর্থী তিথিতে। এটিই হল করবা চৌথের ব্রত।

০২ ১৩
 প্রাথমিক স্তরে এই ব্রত মূলত সৈন্যদের স্ত্রীদের জন্য হলেও পরবর্তীতে এর জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে হিন্দু পরিবারের প্রতিটা ঘরে ঘরে।

প্রাথমিক স্তরে এই ব্রত মূলত সৈন্যদের স্ত্রীদের জন্য হলেও পরবর্তীতে এর জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে হিন্দু পরিবারের প্রতিটা ঘরে ঘরে।

০৩ ১৩
 চলতি বছর, এই ব্রত পড়েছে বুধবার অর্থাৎ ৯ অক্টোবর। এই বছরও সার্বিক ভাবে বিবাহিত মহিলারা এই ব্রত পালন করবেন স্বামীর মঙ্গলের জন্য। কিন্তু এই ‘করবা চৌথ’ নামকরণের অর্থ কী? এর সঙ্গে চাঁদেরই বা কী সম্পর্ক?

চলতি বছর, এই ব্রত পড়েছে বুধবার অর্থাৎ ৯ অক্টোবর। এই বছরও সার্বিক ভাবে বিবাহিত মহিলারা এই ব্রত পালন করবেন স্বামীর মঙ্গলের জন্য। কিন্তু এই ‘করবা চৌথ’ নামকরণের অর্থ কী? এর সঙ্গে চাঁদেরই বা কী সম্পর্ক?

০৪ ১৩
‘করবা’ শব্দের অর্থ হল কড়াই। আর ‘চৌথ’ বলতে বোঝায় চতুর্থী তিথিকে। এই দু’য়ের মেলবন্ধনেই হয়েছে এই ব্রতের নামকরণ।

‘করবা’ শব্দের অর্থ হল কড়াই। আর ‘চৌথ’ বলতে বোঝায় চতুর্থী তিথিকে। এই দু’য়ের মেলবন্ধনেই হয়েছে এই ব্রতের নামকরণ।

০৫ ১৩
 কড়াই বা মাটির পাত্র এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যাঁরা ব্রত রাখেন, তাঁরা নতুন কড়াই কেনেন। সেখানে নতুন কাপড়, কাচের চুড়ি, পুজোর সামগ্রী এবং কিছু খাবার ও মিষ্টি রাখেন। এমনকী বিবাহিত স্ত্রীরা একে অপরের সঙ্গে সেই কড়াই আদান প্রদানও করে থাকেন।

কড়াই বা মাটির পাত্র এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যাঁরা ব্রত রাখেন, তাঁরা নতুন কড়াই কেনেন। সেখানে নতুন কাপড়, কাচের চুড়ি, পুজোর সামগ্রী এবং কিছু খাবার ও মিষ্টি রাখেন। এমনকী বিবাহিত স্ত্রীরা একে অপরের সঙ্গে সেই কড়াই আদান প্রদানও করে থাকেন।

০৬ ১৩
আবার ‘করবা’ বলা হয় গমের পাত্রকেও। এই সময়তেই রবি শস্যের চাষ হয়। বপন করা হয় গমের দানা। তখন যে বড় পাত্রে সেই গমের দানা রাখা হয়, তাকেই ‘করবা’ বলা হয়ে থাকে।

আবার ‘করবা’ বলা হয় গমের পাত্রকেও। এই সময়তেই রবি শস্যের চাষ হয়। বপন করা হয় গমের দানা। তখন যে বড় পাত্রে সেই গমের দানা রাখা হয়, তাকেই ‘করবা’ বলা হয়ে থাকে।

০৭ ১৩
কেউ কেউ বলেন, ‘করবা’ নামের এক পতিব্রতা নারী ছিলেন। তিনি কুমিরের গ্রাস থেকে ফিরিয়ে এনেছিলেন নিজের স্বামীকে। তাঁর নামেই নাকি এই ব্রতের নামকরণ।

কেউ কেউ বলেন, ‘করবা’ নামের এক পতিব্রতা নারী ছিলেন। তিনি কুমিরের গ্রাস থেকে ফিরিয়ে এনেছিলেন নিজের স্বামীকে। তাঁর নামেই নাকি এই ব্রতের নামকরণ।

০৮ ১৩
 ‘করবা চৌথ’-এর রীতি অনুযায়ী, সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত কিছু খেতে পারবেন না ব্রতীরা। এমনকী জলপানও নিষিদ্ধ।

‘করবা চৌথ’-এর রীতি অনুযায়ী, সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত কিছু খেতে পারবেন না ব্রতীরা। এমনকী জলপানও নিষিদ্ধ।

০৯ ১৩
সেই কারণে অনেক সময়তেই সূর্যোদয়ের আগে ইচ্ছে মতো খেয়ে নেন বিবাহিত মহিলারা। সাধারণত সেই খাবারটি তাঁদের বানিয়ে নে তাঁদের শাশুড়িরাই।

সেই কারণে অনেক সময়তেই সূর্যোদয়ের আগে ইচ্ছে মতো খেয়ে নেন বিবাহিত মহিলারা। সাধারণত সেই খাবারটি তাঁদের বানিয়ে নে তাঁদের শাশুড়িরাই।

১০ ১৩
 সন্ধ্যা গড়াতেই আসল উৎসব শুরু। তখন নতুন পোশাক ও অলঙ্কারে সেজে ওঠেন স্ত্রীরা। মেহেন্দিতে রাঙান হাত। সাধারণত ‘করবা চৌথ’-এর দিন লাল অথবা সোনালি রঙের পোশাকেই নিজেদের জড়ান তাঁরা।

সন্ধ্যা গড়াতেই আসল উৎসব শুরু। তখন নতুন পোশাক ও অলঙ্কারে সেজে ওঠেন স্ত্রীরা। মেহেন্দিতে রাঙান হাত। সাধারণত ‘করবা চৌথ’-এর দিন লাল অথবা সোনালি রঙের পোশাকেই নিজেদের জড়ান তাঁরা।

১১ ১৩
এ বার আকাশে চতুর্থীর চাঁদ দেখা দিলে তা চালুনির মধ্য দিয়ে দেখেন মহিলারা।

এ বার আকাশে চতুর্থীর চাঁদ দেখা দিলে তা চালুনির মধ্য দিয়ে দেখেন মহিলারা।

১২ ১৩
চন্দ্রদেবতার কাছেই স্বামীর দীর্ঘায়ুর জন্য প্রার্থনা করে থাকেন তাঁরা।  সঙ্গে থাকে একটি প্রদীপ। সেই প্রদীপের আলোয় দেখতে হয় স্বামীর মুখ।

চন্দ্রদেবতার কাছেই স্বামীর দীর্ঘায়ুর জন্য প্রার্থনা করে থাকেন তাঁরা। সঙ্গে থাকে একটি প্রদীপ। সেই প্রদীপের আলোয় দেখতে হয় স্বামীর মুখ।

১৩ ১৩
এ বার বরণ ডালা থেকে জলের পাত্র নিয়ে স্ত্রীর মুখের সামনে ধরেন স্বামীরা। সেই জল পান করিয়েই স্ত্রীর উপবাস ভঙ্গ করেন তাঁরা।  (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।)

এ বার বরণ ডালা থেকে জলের পাত্র নিয়ে স্ত্রীর মুখের সামনে ধরেন স্বামীরা। সেই জল পান করিয়েই স্ত্রীর উপবাস ভঙ্গ করেন তাঁরা। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy