Mysterious Headless Folk Deity Nishachar Nikunda Worship in Bangladesh Kali Puja Special dgtl
Nishachar Thakur Nikunda Folk Deity
অন্ধকারের দেবতা নিশাচর, অপদেবতা না কি মহাকাল ভৈরবের অনুচর?
বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জ থেকে পাবনা— নানা জায়গায় পূজিত হন এক রহস্যময় দেবতা। যার মাথা নেই, চোখ-মুখ নাকি বুকের উপরেই আঁকা!
আনন্দ উৎসব ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০২৫ ১৫:১৫
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১২
শারদ উৎসবের রেশ কাটতে না কাটতেই এসে গেল দীপাবলি আর শ্যামাপুজোর মরসুম। আলো ঝলমলে এই সময়েই কিন্তু রাত গভীর হলে অলৌকিক, অজানা গল্পের ডালি নিয়ে হাজির হয় নিশি।
০২১২
তেমনই এক অদ্ভুত লোকদেবতার কথা ভেসে আসে পদ্মা-মেঘনার ওপার থেকে— যার নাম মুখে আনাও বারণ!
০৩১২
তিনি হলেন নিশাচর ঠাকুর, যিনি মহাকাল ভৈরবের অনুচর হয়েও এক লৌকিক অপদেবতা হিসেবে পূজিত হন।
০৪১২
বাংলাদেশের শান্ত জামিরতা গ্রামের নদীর তীরে পাগলনাথের মন্দির।
০৫১২
জনশ্রুতি, এক বাবা ও ছেলে রাতের অন্ধকারে সেই মন্দিরের পাশ দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। হঠাৎ ছেলের চোখ গেল এক বীভৎস দৃশ্যে।
০৬১২
অন্ধকারের বুক চিরে শরীরবিহীন একটি মুণ্ড যেন গড়িয়ে গড়িয়ে এগিয়ে আসছে তাদের দিকে। আতঙ্কে ছেলেটি চিৎকার করে উঠতে গেলে বাবা তার মুখ চেপে ধরেন। ফিসফিস করে বলেন, “চুপ, চুপ! ওঁর আসল নাম মুখে নিতে নেই! ও হচ্ছে নিশাচর।”
০৭১২
এই নিশাচর ঠাকুরের আর এক নাম নিকুন্দা, কারণ তার মাথা বা কাঁধ নেই। কেবল মুণ্ডটিই গড়িয়ে চলে। তবে কথিত, তাঁর দু’টি হাত ও দু’টি পা রয়েছে।
০৮১২
আরও বিস্ময়কর, তাঁর চোখ, নাক, মুখ দেখা যায় বুকের উপরে!
০৯১২
বেড়া থানার নাকালিয়ায় অপদেবতা হিসেবে তাঁর পুজো হতো, কিন্তু তাঁর নাম উচ্চারণেরও কিছু কড়া নিয়ম প্রচলিত ছিল। ভুল করে কেউ নাম নিয়ে ফেললে তাকে নাকি তিন বার ঠাকুরের নাম উচ্চারণ করতে হত।
১০১২
এই নিশাচর ঠাকুরকে ঘিরে রয়েছে অদ্ভুত সব বিশ্বাস। কারও উপরে তাঁর বাতাস লাগলে তিনি নাকি পঙ্গু হয়ে যান। আবার তিনি যদি কারও উপরে কৃপা করেন, তবে তাঁর রাতারাতি উন্নতি হয়!
১১১২
যদিও তিনি অপদেবতা হিসেবে পূজিত হন, তাঁর আলাদা করে কোনও নির্দিষ্ট থান দেখা যায় না। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তিনি মূলত শিব এবং দেবী কালীর অনুচর হিসেবেই পূজিত হয়ে এসেছেন।
১২১২
সিরাজগঞ্জের জামিরতায় অগ্রহায়ণ মাসের অমাবস্যায় নিশাচরের পুজো হয়। এখানে ১২ জন দেব-দেবীর সঙ্গে তিনি পূজিত হন। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।