হুতোম লিখছেন, ‘ষষ্ঠীর শর্ব্বরী অবসন্না হলো, সুখতারা মৃদু পবন আশ্রয় করে উদয় হলেন, পাখিরা প্রভাত প্রত্যক্ষ করে ক্রমে ক্রমে বাসা পরিত্যাগ কত্তে আরম্ভ কল্লে; সেই সঙ্গে সহরের চারি দিকে বাজনা বাদ্দি বেজে উঠলো, নবপত্রিকার স্নানের জন্যে কর্ম্মকর্ত্তারা শশব্যস্ত হলেন - ভাবুকের ভাবনায় বোধ হতে লাগলো, যেন সপ্তমী কোরমাখান নতুন কাপড় পরিধান করে হাসতে হাসতে উপস্থিত হলেন।’ এ ভাবেই সপ্তমী আসে বাংলায়।
শুক্লপক্ষের সপ্তমীর প্রভাতে বিল্ববৃক্ষের (বেলগাছ) তলায়, বোধনস্থলেই দেবীকে পুজো করা হয়। বিল্বশাখা পুজোর জায়গায় নিয়ে এসে রাখা হয়। মা দুর্গা সপরিবারে, সন্তানদের নিয়ে পিতৃগৃহে আসেন এ দিন। নবপত্রিকা স্নানের পরে দেবীর প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয়। মৃন্ময়ী দেবী হয়ে ওঠেন চিন্ময়ী।
সপ্তমীর দিন গঙ্গার ঘাটে ঘাটে চলে নবপত্রিকা স্নান। নবপত্রিকা হলেন গণেশজননী দুর্গা। ন’টি উদ্ভিদের সমাহার। সেগুলি হল, কলা, কচু, হলুদ, জয়ন্তী, বেল, ডালিম, অশোক, মান ও ধান। সপত্র কলাগাছের সঙ্গে অপর আটটি উদ্ভিদ বাঁধা হয়। সঙ্গে দেওয়া হয় এক জোড়া বেল। সাদা অপরাজিতা লতা দিয়ে বাঁধার পরে লালপাড় সাদা শাড়ি পরিয়ে বধূ বেশে সাজানো হয়। সাধারণত দেবী প্রতিমার ডান দিকে ঠাঁই পান নবপত্রিকা।
নবপত্রিকা মণ্ডপে বা পুজোস্থলে প্রবেশের পরেই দেবীর মহাস্নান পর্ব শুরু হয়। দর্পণে দেবীর মহাস্নান সম্পন্ন হয়। তার পরে ঘট স্থাপন করে, দেবীর প্রাণপ্রতিষ্ঠা করে শুরু হয় মহাপুজো। ষোড়শোপাচারে দেবীর পুজো হয়। ভোগ নিবেদন, আরতি ইত্যাদি হয় প্রথা মেনে।
‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।