নবমীর রাত মানেই দেবীর কৈলাসে ফিরে যাওয়ার সময় আসন্ন। আবারও এক বছরের অপেক্ষা। দশমীর সকালেই মণ্ডপে মণ্ডপে শুরু হয়ে যায় উমার বিদায়বেলার বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠান। চলে দেবী বরণ, সিঁদুর খেলা। আশ্বিন মাসের শুক্ল পক্ষের দশমী তিথিতে দুর্গা তাঁর চার সন্তানকে নিয়ে ফিরে যান কৈলাসে। কিন্তু মন কেমনের এই দিনটিকে কেন 'বিজয়া' দশমী বলা হয় জানেন?
পুরাণে কথিত, মহিষাসুরের আরাধনায় মুগ্ধ হয়ে তাঁকে দর্শন দেন ব্রহ্মা। শুধু তা-ই নয়, মহিষাসুরকে তিনি বর দেন যে, কোনও পুরুষ তাঁকে কখনও হত্যা করতে পারবে না। ব্রহ্মার বরে নিজেকে অমর ভেবে একে একে স্বর্গ, মর্ত্য, পাতালকে দখল করে মহিষাসুর। তাকে পরাজিত করতে, অশুভের বিরুদ্ধে শুভকে পুনরায় স্থাপন করতে সমস্ত দেবতারা মিলিত হন। তাঁদের সেই সম্মিলিত শক্তি থেকেই দেবী দুর্গার সৃষ্টি। তাঁকে নিজেদের অস্ত্র দিয়ে রণসাজে সজ্জিত করে তুললেন দেবতারাই। এর পরে ৯ দিন, ৯ রাত্রি মহিষাসুরের সঙ্গে যুদ্ধ করার পরে দশম দিনে বিজয়ী হন দেবী দুর্গা। সেই সূত্র ধরেই এই দিনটিকে বিজয়া বলা হয়, যে দিন অশুভকে পরাজিত করে জয় হয়েছিল শুভ শক্তির।
অন্য দিকে জনশ্রুতি অনুযায়ী, দশমীর দিনেই রামচন্দ্র রাবণকে যুদ্ধে হারিয়ে তাঁকে বধ করেন। অর্থাৎ এ ক্ষেত্রেও দশমীতে দুষ্টের দমন ঘটে শিষ্টের পালন হয়েছিল। অশুভের বিরুদ্ধে জয়লাভ করেছিল শুভ। সেই ঘটনাকে আজও ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে উদযাপন করা হয় রাবণ-রূপী পুতুল পুড়িয়ে। দশাননের এই পরাজয়ের দিনটিকে তাই দশেরাও বলা হয়ে থাকে।
কেবল হিন্দু ধর্মে নয়, বৌদ্ধ ধর্মেও বিজয়া দশমীর বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। মনে করা হয়, কলিঙ্গ যুদ্ধের ১০ দিন পরে সম্রাট অশোক বিজয়োৎসব পালন করেছিলেন। তাই এটিকে অশোক বিজয়া দশমী বলা হতো। এই শুক্ল পক্ষের দশমী তিথিতে যেহেতু তিনি বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করেন, তাই বৌদ্ধদের কাছেও এই তিথিটি গুরুত্বপূর্ণ।
‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।