ব্রহ্মার বরে নিজেকে অমর, অজেয় ভাবতে শুরু করেছিল মহিষাসুর। ঠিক সেই সময়েই তাকে বধ করে অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়েছিলেন দশভূজা দেবী দুর্গা। মাতৃরূপী দেবী তখন রণরঙ্গিণী! তাঁকে রণসজ্জায় সজ্জিত করতে একে একে এগিয়ে এসেছিলেন দেবতারা। দিয়েছিলেন নানা অস্ত্র। আপাতদৃষ্টিতে সেগুলিকে যুদ্ধের হাতিয়ার বলে মনে হলেও আদতে কিন্তু এই প্রত্যেকটি অস্ত্রের উপস্থিতিই গভীর অর্থবহ। যেমন -
ত্রিশূল - দেবীকে ত্রিশূল প্রদান করেছিলেন দেবাদিদেব মহাদেব। মহিষাসুরের সঙ্গে এক ভয়ঙ্কর যুদ্ধের পরে এই ত্রিশূলই তার বুকে বিঁধিয়ে দিয়েছিলেন দশভূজা। ত্রিশূল আসলে মনুষ্য জীবনের ত্রিতাপ এবং ত্রিগুণের নির্ণায়ক। সেই কারণেই যুদ্ধের অন্তিম লগ্নে এই ত্রিশূলকে মারণাস্ত্র হিসাবে মহিষাসুরের বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছিলেন দেবী দুর্গা।