জানেন কি নবরাত্রিতে দেবী দুর্গার সঙ্গে পূজিত হন হনুমানও? নবরাত্রির সময়ে দেবী দুর্গার ন’টি রূপের আরাধনা করা হয়। বলা হয়, সেই সময়ে হনুমানজির পুজো করলেও ভাল ফল লাভ করা যায়। তবে শুধু দুর্গাপুজো কেন, বছরের প্রতিটা দিনেই হনুমান চালিশা পাঠ করলে সুফল মিলবে হাতেনাতে। তবে তার জন্য মানতে হবে সঠিক নিয়মও। না হলে লাভের পরিবর্তে ক্ষতিই হবে বেশি।
হনুমান চালিশা কখনও সকালে পাঠ করতে নেই। যদি মনে করেন ঘুম থেকে উঠে অথবা স্নানশেষেই হনুমান চালিশা পাঠের সঠিক সময়, তা হলে এই ধারণা এখনই ঝেড়ে ফেলুন। সন্ধেবেলা পাঠ করতে হয় এটি।
বলা হয়, হনুমান চালিশা পাঠ করার সময়ে কাছাকাছি একটি জলের গ্লাস রেখে দিতে হয়। সমস্ত শুভ শক্তি তাতেই সঞ্চিত হয়। পাঠ শেষ হলে সেই গ্লাসের জল পান করে নিতে হয়।
হনুমান চালিশা পাঠের সময়ে সর্বদা পূর্ব দিকে মুখ করে বসা উচিত।
পাঠের সময়ে মুখে তুলসীপাতা রাখা উচিত। পাঠ শেষ হলে সেটিকে জল দিয়ে গিলে নিতে হবে। তবে সেই পাতা ছিঁড়ে রাখতে হবে সকালেই। সূর্যাস্তের পরে গাছ থেকে ছেঁড়া যাবে না।
যতই মুখস্থ থাকুক, সর্বদা বই দেখেই পড়তে হয় হনুমান চালিশা।
পাঠ করার আগে ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালানোর কথাই প্রচলিত। এমনকি বলা হয়, হনুমান চালিশা পাঠের সময়ে সামনে হনুমানজির ছবি অথবা মূর্তি রাখাও আবশ্যক।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।