'ঊর্ধ্বে বামে কৃপাণং করকমলতলে ছিন্নমুণ্ডং তথাধঃ
সব্যে চাভীর্ব্বরঞ্চ ত্রিজগদ্যহরে দক্ষিণে কালিকে চ।
জপ্তৈ তন্নাম যে বা তব মনুবিভবং ভাবয়স্ত্যেতদম্ব
তেষামষ্টো করস্থাঃ প্রকটিতরদনে সিদ্ধয়ন্ত্র্যম্বকস্য ।'
আরও পড়ুন:
(কপূরাদিস্তোত্র, চতুর্থ শ্লোক)
অর্থাৎ, হে ত্রিজগতের পাপনাশিনী! হে প্রকাশিতদন্তে! হে জগজ্জননি! হে দক্ষিণে, অর্থাৎ নির্বাণদাত্রী! যে সাধকগণ তোমার মন্ত্রৈশ্বর্য্য প্রথম তিনটি শ্লোকে বর্ণিত কালীবীজ, তারাবীজ ও ত্রিপুরাবীজ এবং কালীকে এই নামাত্মক অক্ষর মন্ত্র জপ করে বামভাগে ঊর্ধ্বহস্তে ধৃত খড়গ ও অধোহস্তে শোভিত ছিন্নমুণ্ড এবং দক্ষিণ ভাগে ঊর্ধ্বহস্তে অভয়মুদ্রা ও অধোহস্তে বরমুদ্রা ইত্যাদি প্রকার রূপবিশিষ্ট তোমাকে ভাবনা করেন, তাঁরা অনায়াসে মহাদেবের অষ্টসিদ্ধি লাভ করে থাকেন।
দেবী কালী বামের দুই হস্তে যথাক্রমে নরমুণ্ড ও কৃপাণ ধারণ করেছেন। দক্ষিণ দুই হস্তে বর ও অভয় মুদ্রা ধারণ করে আছেন। তাই তিনি -
'খড়্গমুণ্ডধরা কালী বরদাভয়ধারিণী'
খড়্গ দ্বারা তিনি তাঁর শরণাগতের যাবতীয় অজ্ঞান অন্ধকার নাশ করছেন। খড়্গে অঙ্কিত চোখ সাধককে জ্ঞানচক্ষু প্রদান করছে, অর্থাৎ তাকে চক্ষুষ্মান করছে।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।