কথিত আছে, এক বার কঠোর তপস্যা শুরু করেন ঋষি বশিষ্ঠ। কিন্তু হাজার হাজার বছর তপস্যা করেও সিদ্ধিলাভ করতে পারছিলেন না। তখন তিনি বিষ্ণুর নির্দেশে রওনা দেন চিনদেশে। দেবী তারার উপাসনাপদ্ধতি আয়ত্ত করার জন্য। সেখানে তিনি দেখেন, পঞ্চ ম কার অর্থাৎ মদ্য-মাংস-মৎস্য-মুদ্রা-মৈথুন সহকারে তন্ত্রমতে দেবী আরাধনা করা হয়। সেই সাধনপদ্ধতিই বশিষ্ঠ নিয়ে আসেন বঙ্গে।
লোকনাথ বসু তাঁর হিন্দুধর্ম মর্ম গ্রন্থে লিখছেন, পঞ্চ ম কারের প্রথম উপচার মদ কেবল এক পানীয় নয়। তা আসলে ব্রহ্মরন্ধ্র থেকে ক্ষরিত অমৃতধারা বা সাক্ষাৎ আনন্দ। তন্ত্রসাধনার মাধ্যমে কুলকুণ্ডলিনী জাগ্রত হলে খুলে যায় মস্তিষ্কের উপরিতল বা ব্রহ্মরন্ধ্র। তখন যে আনন্দধারা প্রবহমান হয়, তাই আসলে মদ্য বা কারণ! ভক্তি যখন ভক্তের অন্তরকে নেশার মতো আছন্ন করে ফেলে তখন ভাবই হয়ে ওঠে কারণসুধা।
তন্ত্রসাধক কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ রচিত বৃহৎ তন্ত্রসার অনুসারে এই দেবীর ধ্যানসম্মত মূর্তিটি হল: শ্মশানকালী দেবী কৃষ্ণবর্ণা। তিনি শ্মশানবাসিনী। চক্ষু রক্তপিঙ্গল বর্ণের। আলুলায়িত কেশে দিগম্বররী ক্ষীণাঙ্গী , বাম হাতে মদ ও মাংসে ভরা পানপাত্র, তাঁর দক্ষিণ হাতে সদ্য কাটা নর মুন্ড। দেবী নরমাংসভোগিনী। তিনি ঘোর ভয়ঙ্করী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy