শিশুকালে ঠাকুমা আমায় নিয়ে সন্ধ্যাজপ, পুজোয় বসতেন। সেখানে নানাবিধ কৌতুহলী প্রশ্নে তাকে ব্যতিব্যস্ত করে তুলতাম। সে রকমই একটি প্রশ্ন, কালীপুজোয় জবাফুলই লাগে কেন? ঠাকুমা সেকালের মানুষ। পর্দার আড়ালেই জীবন কেটেছে। বেদ, তত্ত্ব, শাস্ত্রের পাঠের সুযোগ হয়নি। তিনি তাঁর বোধ ও উপলব্ধি নরম , সহজবোধ্য একখানা ব্যাখ্যা দিতেন। আর একটি ছিল শোনা কথা, পুরাণ কথা।
পৌরাণিক কথা- দেবী সপ্তসতী গ্রন্থ ও পুরাণ থেকে আমরা জানতে পারি যখন দেবী চণ্ডীকার সঙ্গে রক্তবীজের যুদ্ধ চলছিল, তখন ভগবতীর ললাট থেকে দেবী চামুণ্ডা রূপে বহির্ভূত হয়েছিলেন। অতি ভয়ঙ্কর সেই রূপ, ধ্যান মন্ত্র থেকে আমরা যার রূপের বর্ণনা পাই। তিনি করালবদনা, হরিণের চামড়া পরিধান করে আছেন। এক হাতে খর্পর, অপর হাতে বিচিত্র খটাস। তাঁর শরীর শুষ্ক, অতিকায় বিশাল উদর, তিনি নিমস্তা রক্ত নয়না...