দেবী শিবের উপরে দণ্ডায়মান। শিব স্থির আর দেবীর পদ প্রত্যালীঢ় বা আলীঢ়। অর্থাৎ, দেবীর ডান পা বা বাম পা এগিয়ে, যা মূলত হাঁটা বা গতির প্রতীক।
আরও পড়ুন:
শবও মায়ের স্পর্শে শিব হয়– এইটিই হল ধারণা। যেমন বিদ্যুৎবাহী তার বিদ্যুৎ না থাকলে মৃতবৎ পড়ে থাকে। আর বিদ্যুৎ প্রবাহিত হলেই সে সজীব হয়ে ওঠে। আলো জ্বলে, পাখা ঘোরে। মনে রাখবেন বিদ্যুৎ একটি শক্তি আর দেবীকেও শক্তি আখ্যায়িত করা হয়। তা হলে শক্তির স্পর্শে শব শিব হচ্ছে।
বিজ্ঞানের শক্তি সংরক্ষণ সূত্র বলছে; শক্তির সৃষ্টি নেই, বিনাশ নেই। সে রূপ পরিবর্তন করে মাত্র।
ঠিক তেমনই, বিদ্যুৎ শক্তি কখনও আলোক শক্তিতে, কখনও গতিশক্তিতে, কখনও অন্যান্য শক্তিতে পরিবর্তিত হয়ে চার পাশ ঘিরে ধরছে। তাই তো তিনি সর্বত্র বিরাজমানা। তিনি শক্তি। এবং বিজ্ঞানের শক্তি ধারণার পূর্বেই তাঁকে শক্তি আখ্যায়িত করা হয়েছে। তাই তিনিই সৃষ্টি, তিনিই পরমাপ্রকৃতি, জগতের সর্বোচ্চ জ্ঞান এবং শক্তি। আর শিব হলেন বোধ। জ্ঞান ও শক্তিহীনতায় বোধের জাগরণ হয় না। সে নিদ্রিত বা অচেতন, শবপ্রম।
অর্থাৎ দুইটি শক্তি– একটি আত্মস্থ শক্তি, অপরটি লীলায়িত শক্তি।
একটি অংশ জাড্য রূপে জমা। অপর অংশটি সদাই ক্রিয়াশীল। যখন জাড্য রূপে জমা, তখন তিনি শব। যখন ক্রিয়াশীল, তখন তিনি শিব।
তথ্য ঋণ- কালী কথা- পত্রভারতী
সাধক পরমানন্দ গিরি মহারাজ, শ্রীরামপুর সিদ্ধেশ্বরী মন্দির
শাস্ত্রকার অরিজিৎ মজুমদার
সাধক শ্রী শুভ্র ভট্টাচার্য
কালী কথা - শিবশংকর ভারতী
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।