শারদোৎসবের ছোঁয়ায় এ বার আলো ঝলমলে পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল সংশোধনাগার। এ বছরই প্রথম সেখানে দুর্গাপুজোর আয়োজন করা হয়েছে। পাঁজি মেনেই পুজোর যাবতীয় নির্ঘণ্ট পালন করা হচ্ছে। যার সূচনা হয়েছিল ষষ্ঠীতে - মায়ের বোধনের মধ্যে দিয়ে।
কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, বন্দি থেকেও যাতে আবাসিকরা দুর্গাপুজোর আনন্দ থেকে বঞ্চিত না হন, তার জন্যই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। আবাসিকদের আর্জি মেনে প্রথমে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে আবেদন জানানো হয়। তাতে অনুমতি দেয় রাজ্য কারা দফতর তথা রাজ্য সরকার। এর পরই খুব অল্প সময়ের মধ্যে পুজোর সমস্ত বন্দোবস্ত সেরে ফেলা হয়।
সাবেক সাজে একচালার প্রতিমা তৈরি করা হয়েছে। মহিলা আবাসিকরাই মায়ের পুজোর জন্য নিজেদের হাতে ১০৮টি মাটির প্রদীপ গড়েছেন। আলপনা দেওয়া-সহ পুজোর অন্যান্য জোগাড়ও তাঁরাই করেছেন। আর পুরুষ বন্দিরা নিয়েছেন ঢাকির দায়িত্ব।
পুজোয় প্রধান পুরোহিতের ভূমিকায় দেখা গিয়েছে কারারক্ষী বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে। তাঁকে সাহায্য করছেন সংশোধনাগারের আরও চারজন আবাসিক। কলাবউ স্নান থেকে সন্ধিপুজো - সমস্ত আচারই পালন করা হচ্ছে নিয়ম মেনে। সরকারের তরফে সমস্ত মহিলা আবাসিকের জন্য নতুন শাড়ি উপহার পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়াও, পুজোর দিনগুলিতে আবাসিকদের জন্য থাকছে বিশেষ খাওয়া-দাওয়ার বন্দোবস্ত।
সপ্তমীতে আবাসিকদের পাতে পড়েছে মাছের কালিয়া, ভাত। অষ্টমীতে ছিল খিচুড়ি আর লাবড়া। নবমীতে মাংস-ভাত থাকছে। এবং দশমীতে খাসির মাংস মাস্ট! সব মিলিয়ে এ বার পুজোয় চুটিয়ে আনন্দ করার সুযোগ পাচ্ছেন সংশোধনাগারের ৪০০-রও বেশি আবাসিক। যাঁদের মধ্যে মহিলার সংখ্যা ৩৫।
‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।