বেহালা নিয়ে নানা সময় নানা মজা, মশকরা শোনা যায়, কখনও জল যন্ত্রণা, তো কখনও আবার অন্য কারণে। কিন্তু শহরের গোড়াপত্তনের সময় থেকেই এই অঞ্চল জড়িয়ে রয়েছে। বেহালার ইতিহাস থেকে, বেহালার কারিগর কারা সেই সমস্ত কিছুই মণ্ডপে উঠে এল। বেহালার বুকেই যেন এক টুকরো বেহালার ইতিহাস। এমন মণ্ডপ দেখতে হলে কোথায় যেতে হবে জানেন? বেহালা তরুণ মাতৃ সেবক সমিতিতে। বেহালা নূতন দল এলে তার থেকে একটু এগোলেই দেখা মিলবে এই মণ্ডপের।
বেহালা তরুণ মাতৃ সেবক সমিতিতে এলে বাইরে থেকে দেখা যাবে এক দুর্গ। ভিতরে ঢুকলেই পটচিত্র, আঁকার মাধ্যমে নানা গল্প তুলে ধরা হয়েছে। শুধুই কি তাই? রয়েছে বেহালার ইতিহাসের সঙ্গে জড়িত থাকা ব্যক্তিরা। অর্থাৎ জেমস লং, অভয় কুমার রায়চৌধুরী, বীরেন রায়, আশুতোষ ভট্টাচার্য, দীনেশচন্দ্র সেন, স্বামী যোগীন্দ্রনাথ রায় চৌধুরী, প্রমুখের কথাও। কেবল দর্শন নয়, শোনানোও হচ্ছে বেহালার ইতিকথা। মণ্ডপ থেকে বেরোতে গেলে চোখে পড়ছে বেহালার ইতিহাস, শহরের গোড়াপত্তনের ইতিকথার ছবিও।
তরুণ মাতৃ সেবক সমিতির আরও এক চমক হল এর মেলা। বিভিন্ন ধরনের দোলনা থেকে হরেক রকমের জিনিসের সম্ভার, খাবারের নানা ধরনের স্টল সবই রয়েছে এই মেলায়।
আরও পড়ুন:
সবটা মিলিয়ে এই মণ্ডপে এলে বেহালাবাসীরা তাঁদের এলাকার ইতিহাস যেমন জানতে পারবেন, তেমনই অন্যান্য দর্শনার্থীরা বেহালায় দাঁড়িয়েই তার ইতিহাসকে দেখে, ছুঁয়ে আসবেন। দক্ষিণে ঠাকুর দেখতে এলে এই মন্ডপ থেকে কিন্তু এক বার ঘুরে যেতেই পারেন।
‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।