এ বছরের জগদ্ধাত্রী পুজোয় এক অনন্য নজির গড়ে ফেলেছে হুগলির চন্দননগরের কানাইলাল পল্লী ক্লাব। নানা মহলের দাবি অনুসারে, এই পুজো কমিটি প্রায় ৭৫ ফুট দীর্ঘ সুবিশাল জগদ্ধাত্রী প্রতিমা তৈরি করেছে! উদ্যোক্তাদের মতে, এটিই বিশ্বের সব থেকে বড় জগদ্ধাত্রী প্রতিমা!
কয়েক বছর আগে কলকাতায় দেশপ্রিয় পার্ক সব চেয়ে বড় দুর্গা প্রতিমা তৈরি করে যেমন শিরোনামে এসেছিল, এ বার জগদ্ধাত্রী পুজোয় সেই একই চমক ফিরিয়ে এনেছে কানাইলাল পল্লী।
প্রতিমা নির্মাণে ফাইবার কাস্টিং শিল্পের ব্যবহার:
সাধারণত চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী প্রতিমা ২৬ ফুটের মধ্যে তৈরি হয়। কিন্তু, সেই প্রথা ভেঙে ৫২তম বর্ষে কানাইলাল পল্লী বেছে নিয়েছে ৭৫ ফুটের বিশাল উচ্চতা! এই সুবিশাল প্রতিমা তৈরি করতে প্রতিমা তৈরির সনাতনী পদ্ধতির পরিবর্তে ফাইবার কাস্টিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।
শিল্পকলা:
প্রতিমাটি সম্পূর্ণ ভাবে ফাইবার দিয়ে তৈরি করেছেন উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর এলাকার শিল্পীরা। মণ্ডপেও ফাইবার কাস্টিং শিল্পকে তুলে ধরা হয়েছে।
নির্মাণ প্রক্রিয়া:
প্রথমে মাটির মূর্তি তৈরি করা হয়। এর পর রেজ়িন এবং ফাইবার ব্যবহার করে সেই বিশাল মূর্তিকে একাধিক ছোট টুকরোতে ভাগ করা হয়। এই টুকরোগুলিকে পরে লোহার ফ্রেমে আটকে জগদ্ধাত্রী, তাঁর বাহন সিংহ, হাতি এবং চালচিত্র তৈরি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
চালচিত্রের বিশেষত্ব:
প্রতিমার চালচিত্রের মধ্যে ব্রহ্মা, বিষ্ণু এবং মহেশ্বরের ফাইবার মূর্তি স্থান পেয়েছে।
উদ্যোক্তাদের দাবি ও ব্যবস্থাপনা:
কানাইলাল পল্লী পুজো কমিটি সূত্রে সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছে, তারা কলকাতার দেশপ্রিয় পার্কের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করেই জগদ্ধাত্রী পুজোয় এই চমক আনতে চেয়েছেন। তাঁদের দাবি, এত বড় জগদ্ধাত্রী প্রতিমা আগে কেউ তৈরি করেনি!
পুজো কমিটির সদস্যদের আশা, এই অভিনব ও সুবিশাল প্রতিমা দর্শনের জন্য পুজোর দিনগুলিতে লক্ষাধিক মানুষের ভিড় হবে এবং মণ্ডপের বাইরে থেকেও এই দেবীর দর্শন পাওয়া যাবে।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।