চক্রবেড়িয়া সর্বজনীন দুর্গোৎসব এ বার সকলকে চমকে দিয়েছিল জীবন্ত দুর্গা বানিয়ে। তারা তাদের থিম ‘প্রথা’র মাধ্যমে কুসংস্কার এবং কুপ্রথার বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছিল। এই ক্লাবের থিমের মতোই এ বার তাঁদের বরণ এবং সিঁদুরখেলাও নজর কাড়ল সবার।
সাদা লাল পাড় শাড়ি, মাথায় শোলার মুকুট পরে হাতে ত্রিশূল নিয়ে মাটির প্রতিমার সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন জীবন্ত দুর্গা। ঠোঁটে লেগেছিল অভয় দেওয়ার হাসি। এই জীবন্ত প্রতিমাকেই বরণ করা হল এ বার চক্রবেড়িয়া সর্বজনীন দুর্গোৎসবের মণ্ডপে। দেবীকে মিষ্টি খাইয়ে, তাঁকে সিঁদুর পরিয়ে বরণ করেন পাড়ার মহিলারা।
আরও পড়ুন:
জীবন্ত প্রতিমার সামনে এ দিন করা হয় ধুনুচি নাচও। কৈলাস ফিরে যাওয়ার আগে কখনও অভয় প্রদান করলেন তিনি, কখনও আবার রুদ্র রূপে পোজ দিলেন ক্যামেরার সামনে।
পুজোর ক’দিন চক্রবেড়িয়ার এই থিম বহু মানুষকে মুগ্ধ করেছে। অগণিত মানুষ লাইন দিয়ে তাঁদের ভাবনা, থিমের সাক্ষী থেকেছেন। পুজো শেষ হওয়ার পরেও একই ভাবে যেন তাঁদের দেবীকে বিদায় দেওয়ারও মুহুর্তও মানুষের মন জয় করে নিল।
প্রসঙ্গত, শিল্পী রিন্টু দাস-এর এই ভাবনা, যেখানে দেবীর অলৌকিক শক্তির সঙ্গে বর্তমান সমাজের মহিলাদের জীবন যুদ্ধের একটি সোজাসাপটা বৈপরীত্য তৈরি করা হয়েছে। মণ্ডপ জুড়ে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে প্রথাগত বন্ধন থেকে মুক্তির বার্তা। যেন সমাজকে থিমের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে পিতৃতান্ত্রিক শৃঙ্খল ভাঙার বার্তা। চক্রবেড়িয়া তাদের থিমের মধ্য দিয়ে যেন মনে করিয়ে দিল উৎসবের দিনও আমাদের সমাজের অন্ধকার দিকগুলিকে ভোলা উচিত নয়। যেন, দেবী দুর্গা এখানে কেবল দশভুজা নন, তিনি এই সমাজের প্রতিবাদের মুখ, যিনি কু-প্রথাকে শেষ করার শপথ নিয়েছেন।
‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।