প্রতি শারদীয়ায় উমা আসেন তাঁর বাপের বাড়ি - এই মর্ত্যে। আবার, দশমীর বিদায় ঘণ্টা বাজলেই কৈলাসে স্বামীর ঘরে ফিরে যান তিনি। হিন্দু ধর্মীয় বিশ্বাস ঠিক এমনটাই। কিন্তু, মহামায়া নিজেই যদি কৈলাসে ফিরতে না চান? তা হলে? তিনি যদি 'জেদ ধরেন' - মর্ত্যে সাধারণ গৃহীর বাড়িতেই চিরকালের জন্য অধিষ্ঠান করবেন? থাকবেন একে বারে ঘরের মেয়ের মতো? তখন তো তাঁকে আর ফেরানো যায় না!
লোককথা বলছে, ঠিক এমনটাই নাকি ঘটেছিল বারাণসীর মদনপুরের বাঙালিটোলার বাসিন্দা মুখোপাধ্যায়দের সঙ্গে! তাই, ২৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই বাড়ির দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া যায়নি!
তথ্য বলছে, এই মুখোপাধ্যায়দের আদি নিবাস ছিল হুগলির জনাই এলাকায়। পরিবারের কর্তা কালীপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় কাশী নিবাসী হয়েছিলেন। বানিয়েছিলেন বসত বাড়ি। ১৭৬৭ সালে সেই বাড়িতেই প্রথম দুর্গাপুজো শুরু করেন তিনি। শারদোৎসবের যাবতীয় বিধি মেনে ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত সমস্ত আচার পালন করা হয়। কিন্তু, গোল বাধে ভাসানের সময়।
বাড়ির একচালা সেই প্রতিমা যে বিরাট ভারী ছিল, তেমনটা নয়। অথচ, বিসর্জনের সময় উপস্থিত হলে সেই প্রতিমাকে তার জায়গা থেকে এক চুলও নড়ানো যায়নি! বিপাকে পড়ে মুখোপাধ্যায়রা কাশী ঘাটের ষণ্ডা পালোয়ানদের ডেকে পাঠান। কিন্তু, তাঁরাও ব্যর্থ হন। এর থেকেই ধারণা তৈরি হয়, উমা নির্ঘাৎ এই বাড়ি ছেড়ে যেতে চাইছেন না। সেই থেকেই মুখোপাধ্যায়দের এই বাড়িতে দশভুজা স্থায়ী ভাবেই থেকে যান।
এখনও প্রতি শারদীয়ায় এই বাড়িতে মায়ের পুজো হয়। পুরোনো কাঠামো সংস্কার করে তাতে নতুন করে শাড়ি, গয়না পরানো হয়। কিন্তু, বিসর্জন দেওয়া হয় না। প্রতি পাঁচ বছর অন্তর প্রতিমা নতুন করে রংও করা হয়।
আরও পড়ুন:
বাড়ির সদস্য থেকে শুরু করে ভক্তরা - সকলেই মনে করেন, এই বাড়ি ঘিরে যে কিংবদন্তী রয়েছে, তা আসলেই অলৌকিক - স্বয়ং জগজ্জননীর কৃপা! সেই কারণেই ভগবতী ও তাঁর চার সন্তান এখানে সারা বছরই পুজো পান।
‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।