কোচবিহারের মদনমোহন ঠাকুরবাড়ির পুজোয় রাজ আমলের সমস্ত রীতিনীতি মানা হয়। সম্পূর্ণ রাজকীয় ঐতিহ্য এবং আড়ম্বর মেনেই পুজোর ৪ দিন ধরে মদনমোহন ঠাকুরবাড়ির কাঠামিয়া মন্দিরে পূজিত হন দেবী।
আরও পড়ুন:
ইতিহাস অনুযায়ী ১৫১০ সালে মহারাজা বিশ্ব সিংহ এই পুজো শুরু করেছিলেন। তিনি নেহাত খেলার ছলেই শুকনো কাঠ এবং বাঁশ পুঁতে দেবীর পুজো শুরু করেন। সেই সময় তিনি ময়না কাঠ ব্যবহার করেছিলেন, আজও সেই কাঠ ব্যবহার করা হয় পুজোয়।
এই কাঠামিয়া মন্দিরের বড়দেবীর প্রতিমা ভয়াল দর্শন। এই মূর্তির সঙ্গে কোনও লক্ষ্মী সরস্বতী থাকে না। থাকে কেবল গণেশ এবং কার্তিক। এ ছাড়া দেবীর সঙ্গে থাকেন তাঁর দুই সখী, জয়া এবং বিজয়া। এই বিশেষ ধরনের প্রতিমায় মহিষাসুরের ডান দিকে থাকে সিংহ আর বাঁ দিকে বাঘ।
বাইরে নয়, কুমোর পাড়া থেকে প্রতিমা এনে নয়, বরং কাঠামিয়া মন্দিরেই রাজ আমলে তৈরি করা কাঠামোতেই গড়া হয় দেবী মূর্তি। দশমীর দিন বিসর্জনের পর সেই মূর্তি পুনরায় তুলে আনা হয়। সেই কাঠামোতেই আবার পরের বছর মাটির প্রলেপ দিয়ে গড়া হয় দেবী প্রতিমা।
আরও পড়ুন:
এই পুজোতে পুজোর চার দিনই বলির বিধান রয়েছে। সপ্তমী থেকে দশমীর মধ্যে ৩টি পাঁঠা, একটি হাঁস, ৬টি পায়রা, মাগুর মাছ এবং দুটো মহিষ বলি হয়।
‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।