Advertisement
ananda utsav 2022

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের নদীতে ঐতিহাসিক ছটপুজো, ঝুঁকি এড়াতে কড়া নজরদারিও

বছরের এই সময়টায় কোচবিহার মেখলিগঞ্জ ব্লকের চ্যাংড়াবান্ধা সীমান্তে বহু মানুষ আসেন ছট পুজো উদযাপন করতে। কড়া নজরদারিতে ধুমধামের সঙ্গে আয়োজন করা হয় ছটপুজোর।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

আনন্দ উৎসব ডেস্ক
শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২২ ১৩:৩৮
Share: Save:

বছরের অন্যান্য সময়টা যেমনই থাকুক না কেন, প্রতি বছরই ছটপুজোর সময় একদম অন্য ছবি ধরা পড়ে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে। ঠিক সীমান্ত বলাটা ভুল হবে। বলা ভাল, নদীর জলে। বছরের এই সময়টায় কোচবিহার মেখলিগঞ্জ ব্লকের চ্যাংড়াবান্ধা সীমান্তে বহু মানুষ আসেন ছট পুজো উদযাপন করতে। কড়া নজরদারিতে ধুমধামের সঙ্গে আয়োজন করা হয় ছটপুজোর। পুজোর আনন্দে মেতে ওঠে আট থেকে আশি।

উৎসবের মেজাজের সঙ্গে সঙ্গে, এই সময় অনুপ্রবেশ এবং পাচারের রমরমাও বেড়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। ফলে, বিএসএফ এর কড়া নজরদারিও চলে দিনভর। এই সময়টায় প্রয়োজনে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করে প্রশাসন।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

ধরলা নদীটি ভারত থেকে শুরু হয়ে বাংলাদেশে গিয়ে মিশেছে। আর ঠিক বাংলাদেশে প্রবেশের মুখেই রয়েছে ছট ঘাট। প্রতি বছরের মতো এই বছরেও সেই একই উচ্ছ্বাস ধরা পড়েছে। ছট পুজোর দিনে প্রায় কয়েক হাজার মানুষ জড়ো হন ধরলা নদীর ঘাটে। চলে সূর্য প্রণাম, ছট পুজোর রীতি নিয়ম। যেহেতু সীমান্ত লাগোয়া এই নদী, তাই পুজোর মরসুমে কোনও রকম ঝুঁকি নেয় না প্রশাসন। দুর্ঘটনা এড়াতে পুণ্যার্থীদের দিনভর মাইকে সতর্ক করা হয়।

নদীতে জল বেড়ে যাওয়ার কারণে একটি নির্দিষ্ট গভীরটা পর্যন্তই পুণ্যার্থীরা নামতে পারেন। তার পরের অংশ থেকে ব্যারিকেড করা থাকে। বয়স্কদের জন্য থাকে আলাদা ব্যবস্থাও। কোনও রকম বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য প্রশাসনের তরফ থেকে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া থাকে। জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে ছটপুজো চলাকালীন কিছু দুষ্কৃতী হামলা চালিয়েছিল এই ঘাটে। তার পর থেকে কোনও রকম ঝুঁকি নেয় না প্রশাসন। ছটপুজোর আগে থেকেই নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয় ধরলা ঘাট।

এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের অংশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE