তিনি কখনও শৈলপুত্রী, ব্রহ্মচারিণী, আবার তিনিই দেবী কাত্যায়নী অথবা সিদ্ধিদাত্রী। একই অঙ্গে যেন বহু রূপ। মোট ন’টি রূপ নিয়ে দেবী দুর্গা, যা ‘নবদুর্গা’ হিসেবেই প্রসিদ্ধ। তবে আজকের নারীদের ক্ষেত্রেও কিন্তু এই সংজ্ঞা পুরোপুরি প্রযোজ্য।
সংগৃহীত চিত্র।
দেবী দুর্গার এই নয়টি রূপের মধ্যে এক একটি রূপ তাঁর সাহস, প্রজ্ঞা, শৃঙ্খলা এবং মাতৃত্বের প্রতিনিধিত্ব করে। ঠিক একই ভাবে নারীরাও জানেন ব্যক্তিগত জীবনের পাশাপাশি কর্মজীবন এবং সামাজিক ভূমিকাকে নিপুণ হাতে সামলাতে। সেই ভাবনা থেকেই টালিগঞ্জের ‘ডায়মন্ড সিটি সাউথ’-এর এই বছরের পরিবেশনা ‘নবরূপে দুর্গা ও আজকের নারী’।
কথিত, দেবী দুর্গা টানা নয় দিন লড়েছিলেন মহিষাসুরের সঙ্গে। দশম দিনে তাঁকে বধ করেছিলেন দেবী। ‘নবরাত্রি’ উৎসর্গ করা হয় এই বিষয়টিকে ঘিরেই। ‘নবরূপে দুর্গা ও আজকের নারী’ তাই ফুটিয়ে তুলেছে বাস্তবের ‘দশভুজা’দের প্রতিচ্ছবি। যাঁরা প্রতিনিয়ত জীবনযুদ্ধে লড়ে যাচ্ছেন নিজেদের অধিকারের জন্য। আর এই রণক্ষেত্রের ‘অসুর’ আসলে সামাজিক বৈষম্য, রীতিনীতি, গার্হস্থ্য হিংসা, লিঙ্গ বৈষম্য-সহ আরও কত কী! ‘ডায়মন্ড সিটি সাউথ’ চলতি বছর তুলে ধরেছে সেই সব গল্পই।
তবে এই প্রথম নয়, ফি বছরই ‘ডায়মন্ড সিটি সাউথ’ হাজির হয় তাঁদের অনন্য ভাবনা ও অর্থপূর্ণ থিমের সম্ভার নিয়ে। যা কেবল ঐতিহ্যকেই উদ্যাপন করে না, বরং প্রতিফলন ঘটায় আধুনিক মূল্যবোধেরও। তাঁদের এই বছরের পরিবেশনা ‘নবরূপে দুর্গা ও আজকের নারী’। এই সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটির ভাবনা এবং নৃত্য পরিচালনার দায়িত্ব তুলে নিয়েছেন সমাজসেবিকা এবং নৃত্যশিল্পী শ্যামলিকা চক্রবর্তী।
আরও পড়ুন:
‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।