বিজয়া দশমী চলে গিয়েছে কিছু দিন আগেই। অর্ধেরও বেশি প্রতিমা বিসর্জন সারা। তবুও উৎসবের ঘোর যেন সহজে কাটতে চায় না। সেই ঘোরকে আরও কিছুটা টেনে রাখার জাদুকরী আয়োজন— দুর্গাপুজো কার্নিভাল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই উদ্যোগ এ বছর নবম বর্ষে পা দিল। আর সেই উদ্যাপনের সাক্ষী রইল বৃষ্টিভেজা রেড রোড।
আরও পড়ুন:
বৃষ্টি নেমেছে। আকাশ মন খারাপের গান গাইছে যেন। কিন্তু বৃষ্টিতে কি আর কলকাতার উৎসব থেমে থাকে? কার্নিভাল দেখতে উপচে পড়ল দর্শক। সেই ভিড়ের সামনে দিয়ে একে একে চলল একশো তেরোটি ঝলমলে ট্যাবেলো। কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রথম বার অংশগ্রহণকারী পুজো কমিটির সংখ্যা ১১৩-এর গণ্ডি পার করল— যা সত্যিই এক নতুন রেকর্ড। ২০১৬ সালে শুরু হওয়া এই কার্নিভাল সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও বড়, আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে।
কার্নিভালের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। কখনও রামমোহন সম্মিলনীর শোভাযাত্রার সঙ্গে তাঁরই লেখা গানে নৃত্য পরিবেশিত হল। কখনও আবার হরিদেবপুর অজয় সংহতির ট্যাবেলোর সামনে মুখ্যমন্ত্রীর লেখা ও ইন্দ্রনীল সেনের গাওয়া গানের তালে পা মেলালেন শিল্পীগোষ্ঠী।
আরও পড়ুন:
কিন্তু উৎসব তো কেবল মঞ্চের দিকে তাকিয়ে থাকার বিষয় নয়। উৎসব মানে মিশে যাওয়া, এক হয়ে যাওয়া। সেটাই দেখা গেল রেড রোডে। অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়কে দেখা গেল বডিগার্ড পুলিশ লাইন্সের পুজোর ট্যাবলোর সঙ্গে আনন্দে নাচতে। একই ভাবে দক্ষিণ কলকাতা সর্বজনীনের শোভাযাত্রায় নেচে উঠলেন অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য। দলের মহিলা সাংসদ-বিধায়কদের সঙ্গে কখনও মুখ্যমন্ত্রীকেও দেখা গেল নাচে সামিল হতে। এমনকী ভিড়ের মাঝে সবার সঙ্গে ডান্ডিয়াও খেললেন তিনি। ছোটরাও একাধিক ক্লাবের হয়ে নেচেছে।
উৎসবের এই রেশ শুধু কার্নিভালেই সীমাবদ্ধ ছিল না। যেমন, এ বছর সিংহী পার্কের পুজোয় বিশেষ ভাবে উদ্যাপন করা হয়েছিল চৈনিক শিল্পকলা। মণ্ডপ থেকে প্রতিমা, সবখানেই ছিল নতুনত্বের ছোঁয়া।
রেড রোডের ভিজে মাটি, ঝলমলে আলোর রোশনাই, আর ঢাকের বাদ্যি যেন একটাই কথা বলছে, পুজো শেষ হলেও আনন্দ ফুরোয়নি। বরং আগামী বছরের জন্য অপেক্ষা শুরু হল এই মুহূর্ত থেকেই।
‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।