পুজো তো প্রায় এসেই গেল। কোন কোন জায়গার ঠাকুর দেখবেন, তার লিস্ট নিয়ে বসা হয়েছে তো? কলকাতার গোটা উত্তর ভাগটা চষে দেখতে একটা গোটা দিনও বোধহয় যথেষ্ট নয়।
যদিও মেট্রোর দৌলতে অনেকটাই হয়েছে মুশকিল আসান। তবে ঠিক কোন মেট্রো স্টেশনের অদূরে রয়েছে শহরের কোন কোন বড় পুজো মণ্ডপ, সেটা পুজো শুরুর আগেই জেনে নেওয়া নেওয়া যাক।
১। নোয়াপাড়া
শুরু করা যাক নোয়াপাড়া থেকেই। প্রথমেই আসে নোয়াপাড়া দাদাভাই সংঘের পুজো। স্টেশন থেকে নেমে বেশি দূর হাঁটার প্রয়োজন নেই। একদম সামনেই এই পুজো মণ্ডপ। এ ছাড়াও আছে গ্রিন পার্ক নেতাজি ইউনাইটেড ক্লাব।
২। দমদম
দমদম তরুণ সংঘ, দমদম পার্ক ভারতচক্র, দমদম পার্ক যুবকবৃন্দ-এই পুজো মণ্ডপগুলি প্রতি বছরই চর্চায় থাকে। এ ছাড়াও রয়েছে সিঁথির মোড়ের বন্ধুদল স্পোটিং ক্লাব। দমদম পার্ক সর্বজনীনের কথাও ভুললে চলবে না।
৩। বেলগাছিয়া
দমদমের পরের স্টেশনে নামলেই একের পর এক বড় পুজো। রয়েছে টালা প্রত্যয়, টালা বারোয়ারি। কিছুটা এগিয়ে গেলেই ঢুকে পড়তে পারেন শ্রীভূমি স্পোটিং ক্লাবের লাইনে।
৪। শ্যামবাজার
কোনও গাড়ি-ঘোড়া নয়, হাঁটা পথেই দেখে নেওয়া যাবে শ্যাম স্কোয়ার, জগৎ মুখার্জি পার্ক, বাগবাজার সর্বজনীনের মতো বড় বড় পুজোগুলি।
৫। শোভাবাজার সুতানুটি
শোভাবাজার যাবেন, আর শোভাবাজার রাজবাড়ির সন্ধ্যারতি দেখবেন না, তা কী ভাবে হয়! অঞ্জলি দিয়ে ভোগ খেয়েই হাঁটা লাগানো যাক। কুমোরটুলি পার্ক, কুমোরটুলি সর্বজনীন, আহিরীটোলা সর্বজনীন- কী নেই সেখানে। তালিকা আরও বড়। আছে কাশী বোস লেন, তেলেঙ্গাবাগান, হাতিবাগান নবীনপল্লি, সিকদার বাগান, গৌরী বাড়ির মতো পুজো।
৬। গিরিশ পার্ক
এই স্টেশনে নামলেও দেখতে পাওয়া যাবে একের পর এক উত্তরের বড় পুজো। রয়েছে চালতাবাগান, সিমলা ব্যায়াম সমিতি, ৩৭ পল্লি, বিবেকানন্দ স্পোটিং ইত্যাদি।
৭। মহত্মা গান্ধী রোড বা এমজি রোড
স্টেশনে নেমেই অপেক্ষা করছে মহম্মদ আলি পার্কের পুজো, এ ছাড়াও রয়েছে কলেজ স্কোয়ার।
৮। সেন্ট্রাল
সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার তো আছেই, এ ছাড়াও দেখে নিতে পারেন সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার, কাপালিটোলা অথবা লেবুতলা পার্কের পুজো।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।