ধরা যাক, সেন্ট্রাল পর্যন্ত আর একটাও ঠাকুর দেখা বাকি নেই! এ বার তবে পা বাড়ানো যাক দক্ষিণের দিকে। মেট্রোয় চেপে দক্ষিণ কলকাতার পুজো পরিক্রমা শুরু নেতাজি ভবন থেকে। স্টেশনে নেমেই রয়েছে পরপর দুর্গামণ্ডপ। তালিকা-সহ রুটের হদিশ এই প্রতিবেদনে।
১। নেতাজি ভবন
ভবানীপুর দুর্গোৎসব, ভবানীপুর ৭৫ পল্লির কথা আর নতুন করে বলার কিছু নেই। সঙ্গে রয়েছে পদ্মপুকুর বারোয়ারি সমিতি, হরিশ পার্ক, অগ্রদূত উদয় সঙ্ঘ। সঙ্ঘশ্রী ও সঙ্ঘমিত্র ক্লাবের পুজোও বেশ বড় করে হয়।
২। যতীন দাস পার্ক
যতীন দাস পার্কে নেমে ঠাকুর দেখা মানেই প্রথম গন্তব্য ম্যাডক্স স্কোয়ার। সময় থাকলে ঘুরে আসতেই পারেন বকুলবাগান সর্বজনীন, ২৩ পল্লি, ২১ পল্লি, আদি বালিগঞ্জ।
৩। কালীঘাট
কোনটা ছেড়ে কোনটা দেখবেন! এক দিকে দেশপ্রিয় পার্ক, ত্রিধারা, হিন্দুস্তান পার্ক, সিংহী পার্ক, একডালিয়া এভারগ্রিনের মতো একের পর এক জনপ্রিয় পুজো। তো অন্য দিকে বাদামতলা আষাঢ় সঙ্ঘ, ৬৬ পল্লি, চেতলা অগ্রণী। এ ছাড়াও বালিগঞ্জ কালচারাল, ট্রায়াঙ্গুলার পার্ক ছাড়া কি আর ঠাকুর দেখা সম্পূর্ণ হয়!
৪। রবীন্দ্র সরোবর
মেট্রো থেকে বেরিয়েই কিছুটা হেঁটে রয়েছে মুদিয়ালি ও শিবমন্দির। দেখে আসতে পারেন সুরুচি সঙ্ঘও।
৫। মহানায়ক উত্তম কুমার বা টালিগঞ্জ
যাওয়া যাক বেহালার দিকে। দেখে নিতে পারেন হরিদেবপুর অজেয় সংহতি, বড়িশা ক্লাব, পল্লি উন্নয়ন সমিতি, ৪১ পল্লি।
৬। গীতাঞ্জলি বা নাকতলা
চলুন গীতাঞ্জলি। স্টেশনে নেমেই দক্ষিণের অন্যতম বড় পুজো। দেখে নিন নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘ।
৭। শহীদ ক্ষুদিরাম
স্টেশন থেকে নেমেই পাটুলি। সেখানেও দেখে নিতে পারেন পাটুলি ক্লাবের দুর্গাপুজো।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।