পুজোর ঠিক মুখেই যখন এক এক করে কুমোরটুলি থেকে নিজেদের গন্তব্যে রওনা দেওয়া শুরু করেছিল প্রতিমাগুলি ঠিক সেই সময়ই শহর সাক্ষী থাকল প্রকৃতির তাণ্ডবলীলার। মঙ্গলবার ভোররাত থেকে এক নাগাড়ে বৃষ্টি হওয়ায় প্রায় গোটা কলকাতায় জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। সকাল, দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলেও জল নামার নাম নেই। এমন অবস্থায় কী অবস্থায় কুমোরটুলির খোঁজ নিলে আনন্দবাজার ডট কম।
সংগৃহীত চিত্র।
শিল্পী বিপ্লব পালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, “আমাদের এখানে জল নেই। এখানে কোনও অসুবিধা নেই। অন্য দিকে যেখানে বাইরে ঠাকুর থাকে, মাচার তলায়, প্লাস্টিক টাঙিয়ে যেখানে ঠাকুর রাখা হয় সেখানে অসুবিধা আছে। পাকা ঘর যাদের তাদের অসুবিধা নেই। আমাদের এ দিকে জল নেই।”
অন্যান্য শিল্পীদের থেকে খোঁজ নিয়ে জানা গেল দুর্গা প্রতিমার বায়না অন্যান্য বছরের মতো এই বছরেও রয়েছে। কিন্তু পুজোর মুখে যে ভাবে লাগাতার বৃষ্টি শুরু হয়েছে তাতে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন তাঁরা। ফলে যে বায়না আসছে সেটা পূরণ করা কতটা সম্ভব হবে তাই নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন। প্রতিমার মাটি থেকে রং শুকাতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে তাঁদের। আজকাল আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে রং শুকানোর ব্যবস্থা থাকলেও তাতেও বিশেষ কাজ হচ্ছে না বলেই মত তাঁদের।
তবে কলকাতার এই কুমোর পাড়ার যাঁদের পাকা ঘর, পাকা ছাউনির ব্যবস্থা আছে সেখানে অত সমস্যা নেই। কিন্তু যে শিল্পীরা অস্থায়ী ঘর, বা মাচা বেঁধে, প্লাস্টিক টাঙিয়ে কাজ করেন তাঁদের এই টানা বর্ষার মধ্যে কাজ করতে বিস্তর সমস্যা হচ্ছে যে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। পুজোর আগে স্বাভাবিক ভাবেই এই সময়টাই তাঁদের মূল ব্যবসা বা শ্রীবৃদ্ধির সময়। কিন্তু সেই সময়ই আকাশের এই ভ্রুকুটিতে আশঙ্কার প্রহর গুনছে শহরের প্রতিমা তৈরির এই আঁতুড়ঘর।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।