কালীপুজো শেষ। বলা যায় প্রায় এক মাস ব্যাপী উৎসবের মরসুম শেষ। কিন্তু পুরোপুরি শেষ কী? এ বার আসছেন জগদ্ধাত্রী। সেজে উঠছে হুগলি পাড়ের চন্দননগর। জোরকদমে প্রস্তুতি চলছে এখন সেখানে। নবমীতে মূল পুজো হলেও, ষষ্ঠী থেকে দশমী মানুষের ঢল নামে রাস্তায়। পুজোর আগেই জেনে নিন এই বছর চন্দননগরের বিসর্জন কবে, কী কী নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে।
শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর চন্দননগর কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে একাদশীর দিন এই বছরের শোভাযাত্রা এবং বিসর্জন হবে। যদিও সাধারণত দশমীর দিনই বিসর্জন হয়ে থাকে। কিন্তু এই বছর বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা এবং গুপ্ত প্রেস পঞ্জিকার তিথির মধ্যে ফারাক থাকায় ১ নভেম্বর পর্যন্ত দশমী তিথি রয়েছে। তাই ৩১ অক্টোবরের বদলে ১ নভেম্বর বিসর্জন হবে।
আগামী ২৭ অক্টোবর ষষ্ঠী। ফলে সে দিন থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত এই বছর জমিয়ে জগদ্ধাত্রী ঠাকুর দেখা যাবে চন্দননগরে।
কী কী নির্দেশিকা থাকছে এই বছরের শোভাযাত্রার জন্য?
প্রতি বছরের মতো এই বছরও কোনও রকম বাজি ব্যবহার করা হবে না। ব্যবহৃত হবে না কোনও ডিজে বা সাউন্ড সিস্টেম। কেবল শোভাযাত্রা নয়, চমক থাকছে মণ্ডপেও। প্যান্ডেল থেকে প্রতিমা, আলোর সাজ সবেতেই চমক থাকবে এই বছরের চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোয়। প্রতিমার রঙে কোনও রকম সিসা জাতীয় রং ব্যবহৃত হবে না। চলতি বছরের শোভাযাত্রায় অংশ নেবে মোট ৭০টি পুজো কমিটি।
চন্দননগর কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির তরফে জানানো হয়েছে গত বছরের তুলনায় এই বছর বাড়ছে পুজোর সংখ্যাও। এই কমিটির অধীনে গত বছর যেখানে ১৭৭টি পুজো হয়েছিল, এই বছর সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৮০। ১৩৩টি পুজো হবে চন্দননগর থানা এলাকায়, আর বাকি ৪৭টি হবে ভদ্রেশ্বর থানা এলাকায়।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।