বাহন সিংহ ও মহিষাসুরকে নিয়ে দিব্যি বসে আছেন দেবী। কেশসজ্জা থেকে শুরু করে টানা চোখ ও ঠোঁট, নিপুণ তুলির টানে যেন জীবন্ত হয়ে উঠছে সবটাই। অভিজ্ঞ হাত দিয়ে দেবীকে সাজিয়ে চলেছেন শিল্পীরা। অত্যন্ত সূক্ষ্ম সেই কাজ। কারণ এই প্রতিমা কিন্তু মানুষের সমান নয়। বরং
এর উচ্চতা দেড় ফুটেরও কম। দেবীর সঙ্গে থাকা সন্তানরাও দৈর্ঘ্যে ১ ফুটের কাছাকাছি। এমন ছোট দুর্গা দেখেছেন কখনও?
এক দশক আগের কথা। কলকাতাবাসী সাক্ষী থেকে ছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুর্গার। এক দিকে দক্ষিণ কলকাতার সেই বিশেষ পুজো চত্বরে জনতার উচ্ছ্বাস, অন্য দিকে দশ বছর পর তেমনই উত্তর কলকাতার কুমোরটুলির পটুয়াপাড়ায় নিঃশব্দে প্রাণ পাচ্ছেন এই ছোট দুর্গা। এমনকি পাড়ি দিচ্ছেন বিদেশেও।
প্রতিমার উচ্চতা দেড় ফুটেরও কম। যার কারণে অতি সহজে ব্যাগে করেই বিদেশযাত্রা সম্ভব। তবে এই দুর্গা কিন্তু ফাইবারের নয়, বরং একেবারে জল-মাটি দিয়েই রূপ দেওয়া হয়েছে তাঁকে। মূলত বিদেশের জন্য যে প্রতিমাগুলিকে পাঠানো হয়, তা ফাইবারেরই হয়ে থাকে এবং উচ্চতাও তুলনায় বেশি। প্রায় ৯ ফুটের কাছাকাছি দৈর্ঘ্য। এই ছোট দুর্গা মাটির তৈরি।
কুমোরটুলির শিল্পীদের কথায়, এমন মূর্তি বানাতে সময় লাগে চার থেকে পাঁচ দিন। আর খরচও সবমিলিয়ে অনেক কম। বড় মূর্তি দেশের বাইরে পাঠাতে গিয়ে ঝক্কিও পোহাতে হয় বেশ খানিকটা। উপরন্তু প্যাকিংয়ের পৃথক খরচ। দেখা যায়, মূর্তির প্রকৃত দামের তুলনায় শুধুমাত্র নিয়ে যাওয়ার খরচই বেশি। এই মূর্তির আকৃতিতে ছোট হওয়ায় অনায়াসে ব্যাগ অথবা সুটকেসে করে নিয়ে যাওয়া যায়।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।