ছোট্ট মেয়ে রোজি খাতুন। হাতে লণ্ঠন নিয়েই উমাকে বিদায় জানাল সে। রোজি একা নয়, ছিল আমিনা, সাবিনা-সহ আরও অন্যান্যরা। মহানন্দার বুকে মানুষ এই সম্প্রীতির মিলন দেখে আসছে প্রায় সাড়ে ৩০০ বছর ধরে। প্রতি বছর জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকল মানুষ একত্রিত হয়ে উমাকে বিদায় জানান এ ভাবেই।
মালদহের চাঁচলের ঘটনা। সম্প্রতি নজর কাড়ল সেখানকার মহানন্দার ঘাটের প্রতিমা নিরঞ্জন। হাতে লণ্ঠন নিয়ে আলো জ্বালতে দেখা গেল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে। ধর্ম বিদ্বেষ ভুলে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ এলেন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে।
চাঁচলের এই পুজোর বয়স প্রায় সাড়ে ৩০০ বছর। সেখানকার রাজা শরৎচন্দ্র রায়চৌধুরীর হাত ধরে শুরু হয়েছিল এই পুজো। কথিত, মহানন্দা নদীর অন্য প্রান্তে রয়েছে শাওরগাছি গ্রাম। এক সময়ে ভয়াবহ মহামারির কবলে পড়েছিল সেখানকার মানুষ। সেই সময়ে গ্রামের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তি স্বপ্নাদেশ পান, যেন দেবী জানান দিচ্ছেন, দশমীর গোধূলি লগ্নে দেবীর বিদায় বেলায় মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ নদীর ও পার থেকে পথ দেখাবেন দেবীকে। ব্যস, সেই থেকেই শুরু…আজও নিয়ম করে এই ধারা অটুট রেখেছেন স্থানীয়রা। এখন অবশ্য লণ্ঠনের পরিবর্তে অনেক সময়ে মোবাইলের টর্চও ব্যবহার করা হয়।
‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।