প্রেজেন্টস্
Knowledge Partner
Fashion Partner
Wedding Partner
Banking Partner
Comfort Partner

যেখানে শেষ সবার পুজো, ঘরে ফেরার গানে সেখানেই শুরু ঢাকিদের উৎসব

মণ্ডপ ছেড়ে এ বার বাড়ি ফেরার পালা। ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে বেড়াতে যাওয়া, নতুন জামা আর একটু ভাল-মন্দ খাওয়া– এত দিনে শুরু ঢাকি পরিবারগুলির আসল উৎসব।

আনন্দ উৎসব ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০২৫ ১১:৫৯
প্রতীকী চিত্র

প্রতীকী চিত্র

শহরের পুজো শেষ। মণ্ডপে মণ্ডপে আলোর রোশনাই নিভে এসেছে। বিষাদের সুর ঢেকে দিয়েছে আনন্দকে। এ বার প্রতিমা বিসর্জন, বিজয়ার কোলাকুলির পালা। উৎসবের এই দিনগুলিতে বাংলার আনাচ-কানাচ থেকে আসা যে মানুষগুলির ঢাকের আওয়াজ মন মাতিয়ে রেখেছিল, এ বার তাদের ঘরে ফেরার পালা। জঙ্গলমহল থেকে মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া-পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রামের দূর-দূরান্তের গ্রামগুলি থেকে আসা ঢাকিদের বোলে এ বার 'ঢ্যাং কুড় কুড়' করে ঘরে ফেরার গান।

সারা বছর নানা কাজে ব্যস্ত থাকলেও বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবের পাঁচটি দিন তাদের জগৎ বলতে ওই মণ্ডপ আর ঢাকের বোল। বাড়ির সব সক্ষম পুরুষ সদস্য এবং অনেক জায়গায় মহিলারাও এই ক’টা দিন ব্যস্ত থাকেন এই পেশার টানে। পকেটে পুজো কন্ট্রাক্টের টাকা, চোখে এক চিলতে সুখের স্বপ্ন। কারণ, সাধারণ মানুষের পুজো শেষ হলে ঢাকি পরিবারগুলির ‘নিজেদের পুজো’ শুরু হয় বিজয়ার পরেই।

বাড়ি ফিরে ছেলে-মেয়েদের জন্য নিয়ে যাওয়া নতুন জামা, তাদের মুখে ভাল-মন্দ খাবারের স্বাদ তুলে দেওয়া, আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতো নিজের পরিবারকে নিয়ে একটু ঘোরা— এ সবের মধ্যেই লুকিয়ে থাকে ঢাকিদের আসল উৎসব। পুজোর সময়ে নিজেরা পরিবার থেকে দূরে থাকেন, তাই বিজয়ার পরে এই দিনগুলি যেন ভালবাসার বাঁধন আরও শক্ত করে। এই সময়টা তাঁদের কাছে বছরের সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত ছুটি।

পশ্চিম বর্ধমানের সাকতরিয়া, জঙ্গলমহলের পরদ্দআ বা কেশপুরের খেতুয়ার মতো ঢাকি-বহুল এলাকাগুলিতে এখনও এই রীতি দেখা যায়। ঢাক কাঁধে নিয়ে পাড়া-মহল্লা বা বাড়ি বাড়ি ঘুরে বাজনা, স্থানীয় শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া— এ এক দিকে যেমন দীর্ঘদিনের সামাজিক লোকাচার, তেমনই সামান্য অতিরিক্ত উপার্জনের সুযোগ। মূল কন্ট্রাক্টের পেমেন্টের পরে এই ছোটখাটো 'বখশিস' তাঁদের বার্ষিক আয়ে একটা বাড়তি ভরসা যোগ করে।

মুর্শিদাবাদের রাইহাটে দেখা যায়, মহিলা ঢাকিরাও এই পর্বে সমান ভাবে বাজিয়ে যান। পশ্চিম বর্ধমানের কৈয়র বা কেশপুরের খেতুয়াতে বিজয়া থেকে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো পর্যন্ত এই আনন্দ-চর্চা চলে।

‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’।

এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy