১৯১৩ সাল। রাজেন দত্ত, কেষ্ট ব্যানার্জি, বিভূতিভূষণ দাস, খোকা মন্ডল-সহ বেশ কিছু পল্লীবাসীর সহযোগিতা ও চেষ্টায় সিকদার বাগান সাধারণ দুর্গোৎসব-এর সূচনা হল লাল মোহন মিত্রের প্রাঙ্গণে। ১৯৫০ সালে সেই পুজোই উঠে আসে ৫৫ সিকদার বাগানের সামনের রাস্তায়।
এই পুজোর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল নিষ্ঠার সঙ্গে যাবতীয় শাস্ত্রীয় রীতিনীতি, আচার অনুষ্ঠান পালন।ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় দেবীর বোধন ও অস্ত্রদান, সপ্তমীর ভোরে নবপত্রিকা স্নান ও দেবীঘট প্রতিস্থাপন, অষ্টমীতে সন্ধিপূজো ও কুমারী পুজো, নবমীতে মহাভোগ, দশমীতে দেবীবরণ ও সিঁদুর খেলা।
এ বছরে সিকদার বাগানের এই পুজোর ভাবনা 'শুদ্ধ সূচি' অর্থাৎ শুদ্ধতার তালিকা। বর্তমান সমাজে প্রায় রোজই চুরি, ডাকাতি, খুন, শ্লীলতাহানি-সহ নানা অপরাধমূলক ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। তা থেকেই প্রমাণ হয় সমাজে অশুদ্ধ মন এবং অশুদ্ধ বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, গঙ্গা জল শরীরে দিলে 'দেহ' শুদ্ধ হয়। কিন্তু সমাজে থাকা এই অশুদ্ধ মানুষদের শুধুমাত্র দেহ শুদ্ধ হলেই চলবে না, অন্তর থেকেও শুদ্ধ হতে হবে। তাই সমাজের মানুষের কাছে সেই শুদ্ধতার তালিকা তুলে ধরা হবে সিকদার বাগান সাধারণ দুর্গোৎসব কমিটির থিম ভাবনায়।
ক্লাবের সহ সম্পাদক সায়ক দাস আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘এ বছর সিকদার বাগান সাধারণ দুর্গোৎসবের এই ঐতিহ্যপূর্ণ পুজো ১১১তম বর্ষে পদার্পণ করছে। আমরা সকলেই খুবই আনন্দিত ও উচ্ছ্বসিত।’’ এ ছাড়াও তিনি জানান, প্রতি বছরের মতো এ বারেও অত্যন্ত নিষ্ঠা সহকারে পুজোর আয়োজন করা হবে।
কী ভাবে যাবেন?
শোভাবাজার মেট্রো স্টেশনে নেমে অটোয় হাতিবাগান। হাতিবাগান থেকে বাঁ দিকে গেলে ২ মিনিটের হাঁটা পথে টাউন স্কুলের উল্টো দিকেই এই পুজো।
থিম শিল্পী: পাপাই সাঁতরা
প্রতিমা শিল্পী: সনাতন পাল
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy