দক্ষিণ কলকাতার ঠাকুর দেখার জন্য একটা দিন বরাদ্দ থাকেই! আর ঠাকুর দেখতে দেখতে যদি গড়িয়ার দিকে এসে পড়েন তবে এক বার সোনালি পার্ক সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির প্যান্ডেলে তো ঢুঁ মারতেই হবে। গীতাঞ্জলি মেট্রো স্টেশনের কাছের এই পুজো মণ্ডপের এ বারের থিম ‘ঘরে বাইরে’। না, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস নয়। তবে কী? সেখানেই রয়েছে বিশেষ চমক!
এই পুজো মণ্ডপের তরফে ‘ঘরে বাইরে’ থিমের ব্যাখ্যা জানানো হয়েছে এখানে এ বার মণ্ডপের মধ্যে ফুটে উঠবে ‘এক চিরকালীন দ্বন্দ্বের প্রতিচ্ছবি।’ কিন্তু বিষয়টি ঠিক কী জানতে চাইলে শিল্পী ইন্দ্রায়ুধ সেন আনন্দবাজার ডট কমকে বলেন, “সোনালি পার্কের এ বারের থিম ‘ঘরে বাইরে’। তবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ঘরে বাইরে’ নয়। আমি যখন ওখানে প্রথম কথা বলতে গিয়েছিলাম, ওদের এলাকা এবং প্রতিবেশীদের একসঙ্গে চাঁদা তুলে পুজো করার যে বিষয়টা, মানে যেটা বারোয়ারি পুজোর মূল বিষয়, আভিজাত্য আর কী, সেটাকে মাথায় রেখেই এই ভাবনা। প্রতিবেশীরা সকলে মিলে ঘরের মেয়ে উমার পুজো করছে সেটা থেকেই ঘরে আর বাইরেকে মিশিয়ে এই থিম। এটি একটি ছোট্ট উপস্থাপনমূলক ভাবনা, যেখানে সবাই একসঙ্গে পুজোটা করবে।''
ক্লাবের সদস্যরা থিম সং রেকর্ড করার সময়
তবে এই পুজো কমিটির এ বারের সব থেকে বড় চমক এই থিম নয়, বরং তার থিম সং। শিল্পীর কথায়, “এ বারের সব থেকে বড় চমক হল সোনালি পার্কের থিম সং এখানকার অধিবাসীরা করেছেন, তাতে গান, আবৃত্তি আছে, আবার কথপোকথনও আছে।’’
দর্শনার্থীরা এই পুজো মণ্ডপে এলে কী কী দেখতে পাবেন? তাঁদের জন্য কী সাজিয়ে রেখেছে সোনালি পার্ক সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটি? জানা গিয়েছে তাতে ভরপুর বাঙালিয়ানার ছোঁয়া থাকবে। থাকবে পটচিত্র, বাংলার নিজের কিছু ছবিও। ইন্দ্রায়ুধ জানিয়েছেন, প্রতিমাতে ওড়িশা এবং বাংলার ছাপ থাকবে। ফলে সবটা মিলিয়ে মিশিয়েই যে আকর্ষণীয় একটা বিষয়টা তৈরি হচ্ছে সেটা বলাই যায়।
আরও পড়ুন:
চলছে মণ্ডপ সজ্জার কাজ
তাই এ বার যদি পুজোর এক দিন গড়িয়ার দিকে আসা হয় ‘ঘরে বাইরে’ থেকে ঘুরে যেতেই পারেন!
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।