পুজো শেষ। দেবী ফিরেছেন নিজগৃহে। মনে বিষাদের সুর নিয়েই ফের দিন গোনা শুরু। তবে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের প্রত্যন্ত গ্রাম খাদিমপুরের ছবিটা কিন্তু আলাদা। যেখানে আট থেকে আশি সকলেই দেবী দুর্গার বিদায়ের পরে চোখের জল মুছছেন, খাদিমপুরের মানুষ সেখানে সামিল হচ্ছেন উদ্যাপনে। দশমীতে মন খারাপ হয় না তাঁদের। বরং এই দিনে তাঁরা মেতে ওঠেন দেবী চণ্ডীর পুজোয়। বলা চলে, এই দশমীর জন্যই নাকি অপেক্ষা করে থাকেন তাঁরা।
আরও পড়ুন:
এই রীতি অবশ্য নতুন নয়। বরং প্রায় সাড়ে ৩০০ বছর ধরে এই দশমীর দিনেই দেবীর আরাধনা করে আসছেন খাদিমপুরের বাসিন্দারা। চতুর্ভুজা চণ্ডী এখানে সিংহের উপর বসে বলাইচণ্ডী রূপে পূজিতা হন। এই দেবীর সঙ্গেও যথাস্থানে থাকেন লক্ষ্মী, গণেশ, কার্তিক ও সরস্বতী। তবে ব্রাত্য মহিষাসুর।
এক দিনের পুজো। তবে পুজোর পরেই বিসর্জনের নিয়ম নেই। বছরভর দেবী থেকে যান স্থানীয়দের সঙ্গেই। প্রতি বছর বিশ্বকর্মা পুজোর পরের দিন বিসর্জন দেওয়া হয় প্রতিমা। দেবীর আরাধনা শেষে মন্দির চত্বরে শতাধিক পাঁঠা উৎসর্গ করে থাকেন ভক্তরা।
এখন প্রশ্ন হল, দশমীর দিনেই কেন দেবী চণ্ডীর এই পুজো? কথিত, কয়েকশো বছর আগে দশমীর দিনেই নাকি এই গ্রাম বিপর্যস্ত হয়েছিল প্রাকৃতিক দুর্যোগে। বহু মানুষের প্রাণ যায় সেই সময়ে। অনেক ফসল নষ্ট হয়। তার পর থেকেই দেবীকে তুষ্ট করতে ও গ্রামের মঙ্গল কামনায় এখানকার বাসিন্দারা বলাইচণ্ডীর পুজো করে আসছেন।
‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।