১৯৫৪ সালে পাড়ার কয়েকজন মিলে এক সঙ্গে শুরু করেন এই পুজোর। তখন পুজোর নাম ছিল নফর চন্দ্র দাস রোড সর্বজনীন দুর্গোৎসব। পরে ১৯৭৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বেহালা ত্রিশক্তি সংঘ ক্লাব। তবে ক্লাব প্রতিষ্ঠিত হলেও পুজোর নাম কখনও পরিবর্তিত হয়নি। জন্ম লগ্ন থেকে সাবেকি ভাবেই হত পুজো। ২০০১ সাল থেকে শুরু হয় থিম পুজোর। এ ছাড়াও এই পুজার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল নবমীতে ধুনুচি নাচের প্রতিযোগিতা।
এ বার এই পুজোর ৬৯তম বছর। এই বছর পুজোর থিম ‘স্বপ্ন’। ঘুমের মধ্যে নিজে বড় হবার স্বপ্ন। এই ভাবনার মূল বিষয় হল ভাল ভাবে পড়াশুনো করে জীবনে সফল হওয়া। "ছাত্রন্ং অধ্যয়নং তপঃ’। এই যেন জীবনের মূল মন্ত্র।
এক ছাত্রের চোখে জড়িয়ে থাকা স্বপ্নই এ বছরের থিম। পড়াশুনো করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করাই এক ছাত্রের সব থেকে বড় স্বপ্ন। সেই স্বপ্নকে চোখে রেখেই সেজে উঠছে মণ্ডপ। তৈরি হচ্ছে মাতৃ মূর্তি।
পুজোর সম্পাদক প্রসেনজিৎ সেন গুপ্তের কথায়, ‘‘পড়াশুনো করলে জীবনে উপরে ওঠা যায়। সফল হওয়া যায় সেটাই আমাদের এ বারের থিমের মূল বক্তব্য। বাঁশের কাঠামো করে তার উপর প্লাই দিয়ে তার উপরে পুট্টি করা হচ্ছে। এর পর নানা জায়গায় আঁকা হচ্ছে। পুজো ছাড়াও আমার সারা বছর নানা সামাজিক কাজের সঙে যুক্ত থাকি।’’
কী ভাবে যাবেন- তারাতলার দিক থেকে বেহালা চৌরাস্তার দিকে এগোলে পাবেন বেহালা বাজার মেট্রো স্টেশন। ডায়মন্ড হারবার রোড ধরে আরেকটু এগোলেই সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির। মন্দির ছেড়ে এগোলেই বাঁ হাতে ঢুকে গিয়েছে নফর চন্দ্র দাস রোড। নফর চন্দ্র দাস রোড ধরে এক মিনিট এগোলেই পৌঁছে যাবেন মণ্ডপে।
প্রতিমা শিল্পী - উত্তম দে
থিম - স্বপ্ন
থিম শিল্পী- সঞ্জয় দাস
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy