এ বছরের শারদোৎসবে একেবারে প্রথম থেকেই সকলের নজর কাড়তে শুরু করেছে নদিয়া জেলার ফুলিয়ার বসাক বাড়ির দুর্গাপুজো। পুজোর বয়স ৫০ বছর। তার জনপ্রিয়তার প্রধান কারণ হলেন পরিবারের কর্তা বীরেনকুমার বসাক। প্রবীণ এই মানুষটি এক জন জগদ্বিখ্য়াত তাঁতি। বাংলার তাঁত শিল্পে অবদানের জন্য তাঁকে পদ্মশ্রী সম্মানেও ভূষিত করা হয়েছে।
বসাক বাড়ির এ বারের পুজো নিয়ে আরও একটি কারণে চর্চা শুরু হয়েছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুসারে, এই প্রথম কোনও বাড়ির পুজোর উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর, সেই বাড়ি হল বীরেন বসাকের এই বাড়ি।
থিমপুজোর ছোঁয়া লেগেছে বসাক বাড়ির আয়োজনেও। থিমের নাম - 'অন্তরে অন্দরে'। মণ্ডপের ভিতরের অংশ সাজিয়ে তোলা হয়েছে কলকাতা ও জেলার পুরনো বনেদি বাড়ির অন্দরমহলের মতো করে। যেখানে উঠোন ঘেরা বারান্দা, ঠাকুরদালান, কারুকাজ করা খিলান, পেল্লায় আকারের থাম থেকে শুরু করে ঝাড়বাতি, আরাম কেদারা, পুরনো আমলের দরজা, জানলা– সবই আছে।
এ বারের পুজোর উদ্বোধনে জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। খাতায় কলমে বাড়ির পুজো হলেও এই উদযাপন দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে বহু মানুষ আসেন। তাঁরা মায়ের ভোগ-প্রসাদও পান। পুজোর দিনগুলিতে তাই সকলকে নিয়ে জমজমাট হয়ে ওঠে ফুলিয়ার এই বসাক বাড়ি। এ বারও যার কোনও ব্যতিক্রম হচ্ছে না।
‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।