Advertisement
ananda utsav 2022

কোভিড থেকে সেরে উঠেই পুজোর তোড়জোড়, সুস্থ থাকবেন কী ভাবে?

কোভিড-পরবর্তী নানা লক্ষণ বিশ্বজুড়ে চিকিৎসক ও গবেষকদের কপালে ভাঁজ ফেলছে। কোভিডের আঘাত সারিয়ে জীবনের মূলস্রোতে ফিরতে চাইলে কিছু নিয়ম মেনে চলা আবশ্যক।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

আনন্দ উৎসব ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০১:৪৩
Share: Save:

কোভিড ঝরে বছর দুই ধরে কাহিল সবাই। স্রেফ জ্বর, কাশি, মাথাধরাই নয়, সেরে উঠেও শান্তি নেই। এ যেন 'শেষ হয়ে হইল না শেষ!' কোভিড-পরবর্তী নানা লক্ষণ বিশ্বজুড়ে চিকিৎসক ও গবেষকদের কপালে ভাঁজ ফেলছে। এর মধ্যে যেমন আছে কাশির প্রকোপ, অন্য দিকে মানসিক অবসাদও গ্রাস করছে বহু কোভিডজয়ী মানুষকে। এ দিকে পুজো এসেই গেল প্রায়। বাঙালি এ সময়ে ঘরে বসে থাকতে নারাজ। অন্য দিকে, নিজেকে এবং আশপাশের মানুষদের বিপদের মুখে ঠেলে দেওয়াও খুব একটা কাজের কথা নয়। কোভিড পরবর্তী লক্ষণ নিয়ে কেনাকাটা করার সময়ে তাই মাথায় থাক এই স্বাস্থ্যবিধিগুলি।

১. মাস্ক: নতুন করে কোভিড সংক্রমণ রুখতে মাস্কের ব্যবহারের কথা জানানোর প্রয়োজন নেই। তবে কোভিড থেকে সেরে ওঠার পরেও বহু দিন কাশি এবং শ্বাসকষ্টে ভুগতে থাকেন অনেকে। এমতাবস্থায় ফুসফুসের খেয়াল রাখতে মাস্ক ভুললে চলবে না।

২. দূরত্ব: পুজোর ভিড়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা কার্যত অসম্ভব। তবু চেষ্টা করুন তুলনামূলক ফাঁকা জায়গায় বাজার করার। অনলাইন কেনাকাটার পাশাপাশি দিনের যে সময়ে ভিড় কম থাকে, তা মাথায় রেখেও দোকানবাজারে যাওয়ার সময় ঠিক করুন।

৩. স্যানিটাইজার: কোভিড-পরবর্তী সময়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা প্রায় কিছুই অবশিষ্ট থাকে না। তাই সামান্যতম জীবাণু সংক্রমণ থেকেই হতে পারে সর্দিকাশি, পেটের রোগ বা কপাল মন্দ হলে ফের কোভিড। কাজেই কেনাকাটার ফাঁকে বারবার হাত স্যানিটাইজ করে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।

৪. পরিকল্পনা: সদ্য কোভিডের ধাক্কা সামলে ওঠা ক্লান্ত শরীরকে টানা বাজার করার চাপে না ফেলে কেনাকাটাকে ভাগ করে নিন ছোট ছোট অংশে। দোকানের দূরত্ব অনুযায়ী ঠিক করুন, কোন দিন, কোথায়, কত ক্ষণ সময় কাটাবেন। তৈরি থাকুক দরকারি জিনিসের তালিকা। কেনাকাটার ফাঁকে জিরিয়ে নিন নির্দিষ্ট ব্যবধানে। এতে শরীরও চনমনে থাকবে, কাজেরও সুবিধা হবে।

৫. বিশ্রাম: বাজার করে বাড়ি ফিরে প্রয়োজন টানা বিশ্রাম। রাতে অন্তত আট ঘন্টা নিশ্ছিদ্র ঘুম না হলে কিন্তু কোভিড পরবর্তী ক্লান্তি ও অবসাদ তীব্রতর হতে পারে। তাতে শুধু কেনাকাটা কেন, গোটা পুজোই মাটি হওয়ার প্রভূত সম্ভাবনা।

৬. জীবনযাপন: কোভিডের আঘাত সারিয়ে জীবনের মূলস্রোতে ফিরতে চাইলে কিছু নিয়ম মেনে চলা আবশ্যক। ফুসফুসের যত্ন নিতে ধূমপান একেবারে বন্ধ রাখাই বাঞ্ছনীয়। মদ্যপানও হোক নিয়ন্ত্রিত। কেনাকাটার সঙ্গে চলতে থাকুক পাল্লা দিয়ে শরীরচর্চা ও যোগব্যায়াম। এ ভাবে কিছু বিধিনিষেধ মেনে চললেই পুজোর কেনাকাটা সামলে ফেলা যাবে অনায়াসে। অন্য দিকে, শরীরও তৈরি থাকবে পুজোর সময়ের স্বাভাবিক বেনিয়ম ও ধকল সামলানোর জন্য।

এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের অংশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE