স্ট্রিট ফুড থেকে সাবধান! পেটপুজোর জেরে পুজোর আনন্দ বানচাল না হয়
পুজোর দিনে বেপরোয়াভাবে স্ট্রিট ফুডে গা ভাসালে বিপত্তি কিন্তু আপনারই। তাই স্ট্রিট ফুড খাওয়ার আগে মাথায় রাখুন এই বিষয়গুলি।

স্ট্রিট ফুড থেকে সাবধান
আনন্দ উৎসব ডেস্ক
পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই স্ট্রিট ফুড বা রাস্তার খাবারের প্রচলন থাকলেও বাংলার অনবদ্য স্ট্রিট ফুডের সম্ভার নিজ স্বাদগুণে আলাদা করে উল্লেখের দাবি রাখে। এই জিভে জল আনা খাবার থেকে নিজেকে সারা বছর ডায়েটের দোহাই দিয়ে বাঁচিয়ে চললেও পুজোর দিনে নিজেকে বঞ্চিত করবেন না এই অভিজ্ঞতা থেকে। তবে বেপরোয়াভাবে স্ট্রিট ফুডে গা ভাসালে বিপত্তি কিন্তু আপনারই। আসুন দেখে নেওয়া যাক পুজোর দিনে স্ট্রিট ফুড খাওয়ার আগে কোন কোন বিষয়গুলি মাথায় রাখা দরকার।
জনপ্রিয়তা:
সবসময় জনপ্রিয়তার নিরিখে এগিয়ে যাওয়া দোকান থেকেই খাবার কিনুন। সাধারণত এসব দোকানে অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশনের ইতিহাস থাকে না। অন্যদিকে চাহিদা বেশি থাকায় এরা পুরনো খাবার পরিবেশন করার সুযোগ পায় না। ভিড় অনুযায়ী চিনে নিন জনপ্রিয়তার মাত্রা। প্রয়োজনে সাহায্য নিন নেটমাধ্যমের।
উন্মুক্ত দোকান:
চেষ্টা করুন এমন দোকান থেকে খাবার খাওয়ার যেখানে আপনার চোখের সামনে রান্না হচ্ছে। এতে খাবারে অস্বাস্থ্যকর কিছু দেওয়ার সুযোগ পান না দোকানের রাঁধুনিরা।
পরিচ্ছন্নতা:
যদিও রাস্তার খাবারের দোকান পাঁচতারা রেস্টুরেন্টের মত সাজানোগোছানো হবে এমন আশা করাই বৃথা। তবু তার মধ্যে থেকে বেছে নিন তুলনামূলক পরিচ্ছন্ন বিকল্পটি। অনেক দোকানে রাঁধুনিরা টুপি ও দস্তানা পরে রান্না করেন। চেষ্টা করুন এসব দোকান থেকেই খাবার কেনার।
বাসনপত্র:
কাগজ বা থার্মোকলের মতো একবার ব্যবহার্য বাসন ব্যবহার করে এমন দোকানের খাবারে বারবার ব্যবহার্য বাসন ব্যবহার করা দোকানের তুলনায় জীবাণু সংক্রমণের ভয় কম থাকে। বারবার ব্যবহার করার কারণে বাসনপত্র ঠিকঠাক ধোওয়ার বিষয়টিতে প্রায়ই ফাঁকি থেকে যায়।
রান্না খাবার: সদ্য রান্না হওয়া গরম খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। আগুনের তাপে অনেক রোগের জীবাণু ধ্বংস হয়ে যায়। অন্যদিকে আগে তৈরি করে রাখা খাবার কতটা তাজা সেই বিষয়ে সন্দেহের অবকাশ থেকে যায়। একেবারেই এড়িয়ে চলুন কাটা ফল বা কাঁচা সবজি।
নিরামিষ খাবার: বাংলার স্ট্রিট ফুডের বৈশিষ্ট্য এই যে আমিষ উপাদান বাদ দিয়েও রসনাতৃপ্তির হরেক বিকল্প রয়েছে আপনার কাছে। মাছ বা মাংস কতদিনের পুরনো তা বলার সাধ্য আপনার নেই। তাই সবথেকে নিরাপদ নিরামিষ স্ট্রিট ফুড।
উপকরণ: মেনুকার্ড দেখে বুঝে নিন কোন খাবারে কী কী উপকরণ রয়েছে। প্রয়োজনে জিজ্ঞেস করুন দোকানের কর্মীদের। যে খাবারে আপনার অ্যালার্জি রয়েছে বা যা খাওয়া ডাক্তারের বারণ, ভুলেও সেটি খেয়ে ফেলবেন না।
স্যানিটাইজার: কোভিডকালে এই বস্তুটি সঙ্গে থাকা আবশ্যক। রাস্তার পাশের দোকানে খেতে গেলে আপনার সবথেকে বড় সঙ্গী হবে স্যানিটাইজার। খাওয়ার আগে ভাল করে হাত পরিষ্কার করে নিতে ভুলবেন না।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের অংশ।
-
কুন্তলের বাড়ি থেকে পাওয়া ডিসেম্বরের টেটের উওরপত্রের দায় নিল না পর্ষদ
-
‘বিয়ের পর সংসার, চাকরি কী করে সামলাব? উদ্বেগ হচ্ছে, কী করে বলব?’ আলোচনায় অনুত্তমা
-
ব্যোমকেশ, ফেলুদার একঘেয়েমি কাটাতে আমার গোয়েন্দা প্রেম, সমকামিতার সংস্পর্শে আসছে
-
প্রার্থনা চলাকালীন পেশোয়ারের মসজিদে বিস্ফোরণ, মৃত অন্তত ২৮, আহত প্রায় দেড়শো
-
ছবি মুক্তিতে বিলম্ব কেন? সরকারের অনীহায় ক্ষুব্ধ বাংলাদেশী পরিচালক মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী
-
রঞ্জি কোয়ার্টারে নামার আগে শক্তি বাড়ল বাংলার, ভারতীয় দল থেকে ছুটি, রাতেই শহরে মুকেশ
-
দেউচা পাঁচামিতে আরও দু’টি থানা তৈরির সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিল মন্ত্রিসভা
-
কুন্তলের বাড়ি থেকে পাওয়া ডিসেম্বরের টেটের উওরপত্রের দায় নিল না পর্ষদ