এই অতিমারীর সময়ে প্রত্যেকের কাছেই চ্যালেঞ্জ শারীরিক দিক দিয়ে সুস্থ থাকা। সেই মতো সব রকমের স্বাস্থ্যবিধি নিখুঁত ভাবে মেনে চলার চেষ্টাও করছেন সকলেই। যে করেই হোক এই ভয়ংকর পরিস্তিতি থেকে বেরিয়ে আসতেই হবে। আর লড়াই সেদিকে তাকিয়েই।
আমাদের শরীরের সব কিছুকেই ঠিক রাখে পানীয় জল। আর এখন প্রায় প্রত্যেক বাড়িতেই বিশুদ্ধ পানীয় জল খাওয়াটা অলিখিত রেওয়াজ হয়েই গিয়েছে। অনেকেই বিভিন্ন সংস্থার তৈরি বোতলবন্দি বিশুদ্ধ পানীয় জল কিনে চাহিদা মেটাচ্ছেন। তার জন্য সংসার খরচের বাজেট থেকে বেশ কিছু টাকা সরিয়ে রাখতেও হচ্ছে। বিকল্প হিসেবে একটু পরিকল্পনা একটা ভাল ওয়াটার পিউরিফায়ার লাগিয়ে নিতে পারেন বাড়িতে।হয়তো একবারে একটু বেশি টাকা খরচ হবে এই খাতে। কিন্তু অন্য দিকে, কিনে খাওয়া বোতলবন্দি জলের তুলনায় অনেক নিরাপদ জল আপনি নিজের প্রয়োজন মতো বাড়িতেই পেতে পারবেন।
জল পরিশুদ্ধ করার পাশাপাশি এই সব ওয়াটার পিউরিফায়ারের আধুনিক প্রযুক্তি জলের মধ্যে থাকা শরীরের অতি প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদানগুলিকে রক্ষা করে। ফলে এটি একইসঙ্গে সমস্ত রকম জলবাহিত ক্ষতিকারক জীবাণুনাশ করে রোগকে যেমন ঘেঁষতে দেবে না, তেমনই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকেও বাড়িয়ে দেবে।
আরও পড়ুন: সাধ্যের মধ্যে ওয়ান প্লাস, সাধ মেটাবেন নাকি?
‘আর-ও’, ‘ইউ ভি’ এবং ‘ইউ এফ’ প্রযুক্তির পিউরিফায়ার বেশি নিরাপদ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, চিরাচরিত যে ওয়াটার পিউরিফায়ারঘরে ঘরে ব্যবহার হয়, সেগুলির চেয়ে ‘আর-ও’, ‘ইউ ভি’ এবং ‘ইউ এফ’ প্রযুক্তির পিউরিফায়ার বেশি নিরাপদ। জলের মধ্যে লুকিয়ে থাকা আর্সেনিক যেমন আছে, সঙ্গে আছে ফ্লোরাইড। অন্য সব খনিজের মাত্রাতিরিক্ত উপস্থিতিকে খুব সহজেই শোধন করার পাশাপাশি জলবাহিত ক্ষতিকারক জীবাণুকেও ৯৯.৯৯ শতাংশ নাশ করে এই প্রযুক্তিগুলি। ফলে এই ধরনের পিউরিফায়ার জলকে আমাদের শরীরের পক্ষে উপকারী করে তোলে।
বিভিন্ন ওয়াটার পিউরিফায়ারের অন্দরমহলের একটু খোঁজ নেবেন কেনার সময়। প্রথমত, সেটি কপার চার্জ প্রযুক্তি-যুক্ত কি না এবংক’টি ধাপে জলকে পরিশোধন করে- তা অবশ্যই দেখবেন। মনে রাখবেন এখন কিন্তু সাতটি ধাপে জল পরিশোধনের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে বেশ কিছু ওয়াটার পিউরিফায়ারে। এরপর দেখে নিন মেশিন নিয়ন্ত্রণের বাটনগুলি। সফট টাচ বাটনের পিউরিফায়ার বেছে নিতে চেষ্টা করবেন। পিউরিফায়ারটি একবারে সর্বোচ্চ কতটা পরিমাণ জল পরিশোধন করতে পারে, সেই ক্ষমতা এবংমেশিন সারা মাস ধরে চালাতে হলে কতটা বিদ্যুৎ খরচ হতে পারে,সেটাও কিন্তু দেখার বিষয়। মনে রাখবেন, খুব ভাল একটি ওয়াটার পিউরিফায়ারের বিদ্যুৎ খরচ খুব বেশি হলে ৬০ ওয়াটের হয়। দু’ধরনের ব্যবস্থায় ওয়াটারপিউরিফায়ার পাওয়া যায়- টেবিল টপ ও দেওয়ালে লাগানো। আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও জানা জরুরি- ওয়ারেন্টি এবং আফটার সেলসসার্ভিস। এটি কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ দিক।
আরও পড়ুন: করোনা-কালে কাপড় কাচুন গরম জলে, কিনবেন নাকি ফুল অটোম্যাটিক ওয়াশিং মেশিন?
এখন একটি ভাল ওয়াটার পিউরিফায়ার কিনতে গেলে বাজেট ২০ হাজারের থেকে শুরু করতে হবে। এর নীচেও আছে দাম। তবে সবটাই নির্ভর করছে আপনার পকেটের উপরে। চাহিদা বেশি থাকায় ওয়াটার পিউরিফায়ার সব বৈদ্যুতিন সরঞ্জামের দোকানেই যেমন পাওয়া যাচ্ছে, তেমনই পাওয়া যাচ্ছে অনলাইনেও। বেশ কিছু দোকান আবার অফারেও দিচ্ছে, সুদ-বিহীন কিস্তিতে।
এবার আসি কয়েকটি ব্র্যান্ডের কথায়, যেগুলির রেটিং বা জনপ্রিয়তাও দুই–ই বেশি। এদের মধ্যে রয়েছে এইচইউএল পিউরেট,কেন্ট গ্র্যান্ড,ইউরেকা ফর্বস অ্যাকোয়াশিওর, ফেবার, এও স্মিথ প্রভৃতি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy