প্রেজেন্টস্
Knowledge Partner
Fashion Partner
Wedding Partner
Banking Partner
Comfort Partner

বিদায়ী সূর্যের আলোয় তারাদের হোলি খেলা দেখবেন?

হৃষিকেশ বা হরিদ্বার থেকে গাড়ি নিয়ে কনোকচৌরি। তার পর চৌখাম্বার সামনে এক ছোট্ট মন্দির। কার্তিকস্বামী। এখানেই প্রকৃতি ম্যাজিক দেখাবে রঙে, ঢঙে। আলোয়, ছায়ায়। সূর্য এখানে দু’দফায় ভেল্কি দেখায়।

প্রদীপ্ত চক্রবর্তী

শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০২৩ ২০:০৬
ছবি: লেখক

ছবি: লেখক

হরিদ্বার বা হৃষিকেশ থেকে খানিকটা চেনা, খানিকটা অচেনা পথে গাড়িতে গিয়ে তারপর হালকা ট্রেকিং। পৌঁছে যান চৌখাম্বার সামনে এক ছোট্ট মন্দিরে। গাড়িতে রুদ্রপ্রয়াগ পর্যন্ত চেনা রাস্তা। তার পর ৩৫ কিমি অচেনা বেশ নির্জন পথে যাত্রা কনকচৌরির দিকে। পথে চোপতায় দুপুরের খাওয়া (বলে নেওয়া ভালো, এই চোপতা তুঙ্গনাথের চোপতা নয়)।

এর মধ্যে কার্তিকস্বামী মন্দিরের পূজারিকে ফোন করে বলে দিন ওখানে থাকবেন। বাকি মালপত্র গাড়িতেই থাক, শীতবস্ত্র নিয়ে হাঁটা শুরু করুন। রাস্তা খাড়াই নয়, তবু আস্তে আস্তেই চলুন। ৩ কিমি হেঁটে পৌঁছে যান পূজারির আশ্রমে।

গরম চা খেয়ে দো’তলার একটি ঘরে মেঝেতে কম্বল পেতে থাকার ব্যবস্থা। ক্যামেরা বাগিয়ে আরও ৫০০ মিটার সিঁড়ি ভেঙ্গে এগিয়ে চলুন মন্দিরের দিকে। হঠাৎ নাকের মতো উঠে যাওয়া এক পাহাড় চূড়ায় ছোট্ট মন্দির। চার পাশে প্রচুর ঘন্টা। মন্দির চত্বরে চোখ মেলে দিন। বাধাহীন ভাবে ধরা দেবে চৌখাম্বা। আরও কত শৃঙ্গ! বিদায়ী সূর্যের আলোয় তারা হোলি খেলে। যতক্ষণ আলো থাকে ততক্ষণ তাকিয়ে থাকতে হয় অপলক। তারপর ঘরে ফেরার পালা।

ছবি: লেখক

ছবি: লেখক

ঘর শুনে কেউ বিভ্রান্ত হবেন না। কোনও রকমে একটা রাত কাটাতে পারবেন, তবে বিনিময়ে যে সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয় দেখতে পাবেন, তার জন্য এটুকু কষ্ট গায়ে লাগবে না। রাতে পূজারির কাছে ডাল, শাক ভাজা আর রুটি। খানিক শুয়ে খানিক বসে রাত কেটে যাবে।

অন্ধকার একটু পাতলা হতেই আবার মন্দিরের দিকে। এবার সূর্যদেবের দেখা দেবার পালা। বহু ব্যবহৃত উপমায় ভূষিত করে সে রূপ খাটো করব না। শুধু সেই মহাশক্তির কাছে মাথা নত করে কৃতজ্ঞতা জানান এই রূপ দেখার সৌভাগ্য দেওয়ার জন্য। পূজারিকে কিছু প্রণামি দিয়ে এবার ফেরার পালা।

ছবি: লেখক

ছবি: লেখক

ফেরার রাস্তায় পুরো পথ চৌখাম্বা সহ বাকি শৃঙ্গ সঙ্গ দেবে। ফিরে তাকাতে তাকাতে চলে আসুন গাড়ির কাছে। রাতে পূজারির কাছে থাকা কষ্টসাধ্য মনে হলে কনকচৌরিতেও থাকতে পারেন। খুব ভাল না হলেও হোটেল আছে। তবে সূর্যাস্ত দেখার পর অন্ধকারে নামা কষ্টসাধ্য। আর পরদিন সূর্যোদয় দেখতে হলে অন্ধকার থাকতে উঠে রওনা হতে হবে।

এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।

Travel Spots Travel Tips
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy