কর্নাটকের হাসন জেলায় লক্ষ্মী দেবীর প্রাচীন এক মন্দির। দেবী দর্শনে প্রতি দিন ভিড় জমান অজস্র ভক্ত। মন্দিরের সৌন্দর্য সাধারণ মানুষকে আজও মুগ্ধ করে।
হাসন এবং বেলুড়ের মাঝে দোদ্দাগদ্দাভল্লি গ্রাম। সেখানেই এই লক্ষ্মী মন্দির। স্থানীয় ইতিহাস বলে, সুপ্রাচীন মন্দিরটি হয়সল বা হৈসল শাসনকালে নির্মিত। হয়সল রাজ বিষ্ণুবর্ধনের রাজকর্মচারী কল্লাহানা রাহুতার স্ত্রী সাহজা দেবী এই মন্দিরটি নির্মাণ করেছিলেন।
হয়সল আমলের নিজস্ব স্থাপত্যরীতিতে নির্মিত এই মন্দিরে রয়েছে তিন ফুট লম্বা লক্ষ্মী প্রতিমা। লক্ষ্মী দেবীর প্রধান মন্দিরটিকে ঘিরে বেশ কিছু মন্দির রয়েছে। মন্দিরে শৈব এবং বৈষ্ণব উভয় ধর্মের প্রভাব রয়েছে। দুই ধর্মের ভক্তরাই ভিড় জমান এখানে। তাঁদের বিশ্বাস, এই মন্দিরে পুজো দিলে ধনসম্পদ যেমন লাভ হয়, তেমনই মেলে দীর্ঘ জীবন।
মন্দিরের শৈল্পিক শোভা এবং খোদাইয়ের কারুকাজও অসাধারণ। যেন চোখ ফেরানো যায় না।মন্দিরে রয়েছে দু'টি মূল প্রবেশদ্বার। আর মণ্ডপের বৃত্তাকার ছাদের গায়ে অসামান্য কারুকাজ।
লক্ষ্মীর পাশাপাশি শিব, কালী ও বিষ্ণুর মূর্তি রয়েছে এই মন্দিরে। রয়েছে ঐরাবতে আসীন ইন্দ্রের মূর্তিও। এ ছাড়া মন্দিরে রয়েছে গজলক্ষ্মী এবং নরসিংহের মূর্তি।
মন্দিরের চারপাশে নারকেল বাগান। রয়েছে একটি সুন্দর হ্রদও। অপরূপ নৈসর্গিক সৌন্দর্যের কারণে এই গ্রামটি ধীরে ধীরে পর্যটকদের জন্য একটি আকর্ষণীয় স্থান হয়ে উঠছে।
কী ভাবে যাবেন: হাওড়া থেকে ট্রেনে বেঙ্গালুরু। সেখান থেকে ট্রেনে হাসন ৩ ঘণ্টা। হাসন থেকে দোদ্দাগদ্দাভল্লি গ্রাম সড়কপথে ২২ মিনিট। কাছের বিমানবন্দর বেঙ্গালুরু। মহীশূর, বেঙ্গালুরু, ম্যাঙ্গালোরের সাথে ভাল ভাবে যুক্ত হাসন জেলা। হাসন থেকে বেলুড় পর্যন্ত বেশ কয়েকটি রাজ্যের সড়ক পরিবহণ বাস রয়েছে।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy