দেবী লক্ষ্মী নাকি এক বার স্বামী নারায়ণকে ত্যাগ করে মর্ত্যে চলে আসেন। তাঁকে অনুসরণ করে পৃথিবীতে পা রাখেন শ্রীবিষ্ণুও। এবং দেবী শান্ত না হওয়া পর্যন্ত মর্ত্যে থাকার সিদ্ধান্ত নেন। সে সময়ে দেবীর নাম হয় পদ্মাবতী। দক্ষিণের এই মন্দিরে সেই পদ্মাবতীরই আরাধনা।
তিরুপতি মন্দির থেকে সামান্য দূরে তিরুচূড়া এলাকায় পদ্মাবতী মন্দির। যা অলমেলঙ্গাপূরম নামেও পরিচিত। নবম দশকের বিভিন্ন গ্রন্থে এই মন্দিরের বিবরণ পাওয়া যায়।
পদ্ম পুরাণে দেবীর আবির্ভাব সম্পর্কে বিভিন্ন কাহিনি লিপিবদ্ধ রয়েছে। পুরাণবিদেরা বলছেন, দেবী পদ্মাবতী একটি সোনার পদ্মে 'পদ্মসরোবরম' নামক পবিত্র পুষ্করিণীতে নিজেকে প্রকাশ করেছিলেন। সেই সরোবর আজও দেখতে পাওয়া যায়। কার্তিক মাসে শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে দেবীর প্রকাশ ঘটেছিল বলে সেই দিনটি আজও পালিত হয় ধুমধাম করে। এই উপলক্ষে হয়- 'চক্রস্নানম' এবং 'ব্রহ্মমহোৎসব'। মন্দিরের গর্ভগৃহে মহালক্ষ্মী, কালী এবং সরস্বতীর মূর্তি রয়েছে ৷ স্থানীয় মানুষের বিশ্বাস, এই মন্দিরে পুজো দিলে ধনসম্পদ লাভ হয়। ঘরে শান্তি বজায় থাকে।
কী ভাবে যাবেন: হাওড়া থেকে ট্রেনে বেঙ্গালুরু। সেখান থেকে ট্রেনে তিরুপতি। সড়ক পথে বেঙ্গালুরু থেকে তিরুপতি ঘণ্টা পাঁচেক। বাসও চলে এই পথে। তিরুপতি বাসস্ট্যান্ড থেকে পদ্মাবতী মন্দির ৫ কিমি। কাছের বিমানবন্দর তিরুপতি অথবা বেঙ্গালুরু।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy