০৩ মে ২০২৪
Apollo Multispeciality Hospitals

আপনার শিশু কি বার বার ভাইরাল সংক্রমণে ভুগছে? কী ভাবে শিশুকে রাখবেন বিপদ মুক্ত

কোভিডের ভয় কাটতে না কাটতেই কিছু দিন আগেই অ্যাডিনো ভাইরাসের সংক্রমণ বিপজ্জনক আকার নিয়েছিল, যার সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছিল এক থেকে দু’বছর বয়সী বাচ্চাদের উপর।

আলোচনায় পেডিয়াট্রিক কনসালটেন্ট অভিষেক পোদ্দার

আলোচনায় পেডিয়াট্রিক কনসালটেন্ট অভিষেক পোদ্দার

এবিপি ডিজিটাল ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো
শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৬:৪২
Share: Save:

এ রাজ্যে গত চার-পাঁচ মাস ধরেই সমানে অসুস্থ হয়ে পড়ছে বাচ্চারা। কেউ কেউ ঠিক মতো সেরে উঠতে না উঠতেই আবার জ্বরে পড়ছে। কোভিডের ভয় কাটতে না কাটতেই কিছু দিন আগেই অ্যাডিনো ভাইরাসের সংক্রমণ বিপজ্জনক আকার নিয়েছিল, যার সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছিল এক থেকে দু’বছর বয়সী বাচ্চাদের উপর। এদের কারও কারও শরীর এতটাই খারাপ হয়েছিল যে, হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। কোনও কোনও শিশুর শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হওয়ায় আইসিইউ-তে পর্যন্ত স্থানান্তরিত করতে হয়েছিল। সেই পরিস্থিতির উন্নতি হলেও অন্য়ান্য় ভাইরাল সংক্রমণের ভয় এখনও কাটেনি। এই অবস্থায় মা-বাবারা শিশু সন্তানদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে আতঙ্কিত।

কলকাতার অ্যাপোলো মাল্টি স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক কনসালটেন্ট অভিষেক পোদ্দার বলেন, “বাচ্চাদের এই বার বার অসুস্থ হয়ে পড়ার একটা বড় কারণ ভাইরাল সংক্রমণ। অ্যাডিনো ভাইরাসের সংক্রমণ আগের থেকে কমলেও বিপদ পুরোপুরি কাটেনি। কিছু ভাইরাস সব সময় আমাদের চার পাশে ঘুরে বেড়ায়, যেমন ফ্লু। এই ভাইরাস প্রতি নিয়ত আমাদের সঙ্গে থাকে। এ ছাড়া আছে আরএসভি (RSV), মেটা নিউমো, হিউম্যান রাইনো এন্ট্রো-র মতো ভাইরাস। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণও পুরোপুরি চলে যায়নি।”

চিকিৎসকেরা বলছেন, একটু সাবধানে থাকলেই বিপদ অনেকটা কাটানো যাবে। অভিভাবকদের কী করা উচিত, কী করলে শিশুদের বিপন্মুক্ত রাখা যাবে? ডাক্তার পোদ্দার জানান, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে বাচ্চাদের স্বাস্থ্য সচেতনতা। তাঁর কথায়, “বাচ্চাদের শরীরে পুষ্টি পৌঁছনোটা খুবই জরুরি। এর জন্য তাদের খাওয়াদাওয়া ঠিক রাখতে হবে। খাবারের মধ্যে ফল ও সবজি রাখতে হবে। বাচ্চাদের শরীরে ভিটামিন ঠিকঠাক পৌঁছচ্ছে কি না, নজর দিতে হবে সেই দিকেও।”

কোভিডের ভয় কমতেই মাস্ক ব্যবহারের অভ্যাস কমেছে চোখে পড়ার মতো। এই বিষয়ে সাবধান করে ডাক্তার পোদ্দার বলেন “গরমের ছুটির পর স্কুল চালু হয়েছে, বর্ষাও এসে গেছে। ফলে ভাইরাল সংক্রমণের প্রকোপ বাড়বে। তাই মাস্ক পরা বন্ধ করলে চলবে না। বাচ্চাদের ফ্লু ভাইরাসের টিকা দেওয়া খুবই জরুরি। এক জন বাচ্চা সংক্রমণমুক্ত থাকলেও রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা বেশ খানিকটা কমবে।”

এই প্রতিবেদনটি ‘অ্যাপোলো’-এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Apollo Hospital Pediatrician Surgeon
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Share this article

CLOSE