চন্দা কোছর
সিবিআই প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছিল আগেই। ভিডিওকনকে ঋণ মঞ্জুরের ক্ষেত্রে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের প্রাক্তন সিইও চন্দা কোছরের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণ ও স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ ওঠার পরে। বুধবার রাতে সেই চন্দার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল তারা। তাতে নাম আছে চন্দার স্বামী দীপক কোছর, ভিডিওকন এমডি বেণুগোপাল ধুত ছাড়াও আর কিছু ব্যক্তি ও নিউ পাওয়ার রিনিউয়েবল্স, সুপ্রিম এনার্জি, ভিডিওকন ইন্ডাস্ট্রিজ, ভিডিওকন ইন্টারন্যাশনাল ইলেকট্রনিক্সের বিরুদ্ধে। অভিযোগ নথিবদ্ধ হয়েছে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, প্রতারণা ও দুর্নীতি দমন আইনের আওতায়।
মুম্বই, ঔরঙ্গাবাদে ভিডিওকন এবং মুম্বইয়ের নরিম্যান পয়েন্টে নিউপাওয়ার ও সুপ্রিমের দফতরে তল্লাশিও চালায় সিবিআই। সূত্রের দাবি, অভিযোগ প্রমাণ হলে ৭ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে অভিযুক্তদের।
তবে ভোটের মুখে এ ভাবে সিবিআইয়ের নড়েচড়ে বসা ও চন্দার নাম এফআইআরে রাখার মধ্যে রাজনৈতিক বার্তা দেখছেন অনেকে। তাঁদের দাবি, মোদী সরকার এ ভাবে দেখাতে চাইছে তারা কর্পোরেট দুর্নীতির ব্যাপারে কতটা আপসহীন। কারণ, নীরব মোদী, মেহুল চোক্সী বা বিজয় মাল্যরা বিপুল ঋণ ফাঁকি দিয়ে ভারত ছাড়ার পরে বিরোধীরা তাদের শিল্পপতির সরকার বলে দেগেছিল। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী কটাক্ষ করেছিলেন স্যুটব্যুটের সরকার নাম দিয়ে। এই অবস্থায় সিবিআইয়ের এই তৎপরতায় কেন্দ্রের ভাবমূর্তি সংশোধনের চেষ্টাই দেখছেন অনেকে।
যদিও ব্যাঙ্কিং মহলের একাংশের অভিযোগ, নিয়ম লঙ্ঘনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তফাত করে সরকারি, বেসরকারি ব্যাঙ্কের মধ্যে। অভিযোগ পেয়েই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে সরানো হয়েছে শীর্ষ কর্তাদের। কিন্তু আইসিআইসিআইয়ের ক্ষেত্রে অপেক্ষা করা হল প্রাথমিক রিপোর্ট হাতে আসা পর্যন্ত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy