রাজ্যগুলির সঙ্গে দর কষাকষির মাধ্যমে ঐকমত্য তৈরির পালা প্রায় শেষ। ১ জুলাই থেকেই তাই জিএসটি চালুর বিষয়ে আশাবাদী মোদী সরকার। কিন্তু বর্তমান চেহারার পণ্য-পরিষেবা কর (জিএসটি) দেশের অর্থনীতির পক্ষে কতখানি লাভজনক হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেক কর বিশেষজ্ঞ ও অর্থনীতির শিক্ষকরা। সেই সঙ্গে তাঁদের আশঙ্কা, জিএসটির জন্য এখনও পুরোপুরি তৈরিই নয় শিল্পমহল।
অর্থ মন্ত্রকের প্রাক্তন উপদেষ্টা তথা ইন্টারন্যাশনাল ট্যাক্স রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান পার্থসারথি সোমের কথায়, ‘‘যে লঘু চেহারায় জিএসটি চালু হচ্ছে, তা আন্তর্জাতিক মানের নয়। করদাতারা সমস্যায় পড়লে, সেই চেহারা বদলাতে হবে।’’
কোথায় জিএসটির প্রভাব ফিকে হয়ে যাচ্ছে, তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে এনআইপিএফপি-র অধ্যাপক পিনাকী চক্রবর্তীর যুক্তি, জিএসটির আওতায় পেট্রোপণ্য রাখা হয়নি। অথচ রাজ্যের আয়ের ৪০% আসে পেট্রোপণ্য ও অ্যালকোহল থেকে। যা জিএসটি-র বাইরে। এখন অন্তত এটা বলা উচিত যে, কবে সেগুলি জিএসটির আওতায় আসবে।
আরও পড়ুন: জিএসটি-সেসের সীমা বাঁধল পরিষদ
সরকার ও অনেক বিশেষজ্ঞের দাবি, নতুন কর চালু হলে এক ধাক্কায় ২০০ বেসিস পয়েন্ট পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে বৃদ্ধির হার। কিন্তু তেমনই প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম-সহ অনেকে আবার মনে করেন, এতগুলি হারের জিএসটির কাঠামো আসলে দুর্বল। শুক্রবার দিল্লিতে বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে পার্থসারথিবাবুর মন্তব্য, ‘‘জিএসটি নিয়ে সমালোচনা করতে চাই না। চালুর পরে সমস্যা হলে জিএসটির কাঠামোর উন্নতি হতে পারে। কিন্তু সংস্থা ও বণিকসভাগুলি কি তৈরি?’’ বিশেষত ছোট ও মাঝারি শিল্প জিএসটি জমানার জন্য তৈরি কি না, সে বিষয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।
কর বিশেষজ্ঞ মুকেশ বুটানির মতে, ১ জুলাই থেকে জিএসটি চালু হলে কার উপর কত কর চাপবে, তা নিয়ে করদাতা ও কর অফিসারদের স্পষ্ট ধারণা থাকবে না। তা ছাড়া, নতুন জমানায় করের বোঝা কমার পরে তার সুফল ক্রেতা বা গ্রাহকের সঙ্গে ভাগ না করলে, শাস্তির নিদান রয়েছে। এর অপপ্রয়োগ হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy