—ফাইল চিত্র।
আসন্ন যুদ্ধের আগে অসিতে শান দিচ্ছেন দু’পক্ষই।
টাটা সন্সের চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণের পরে সাইরাস মিস্ত্রি তাঁর লেখা চিঠিতে সেই সিদ্ধান্ত বেআইনি বলে আঙুল তুলেছিলেন। সওয়াল করেছিলেন তা ফিরিয়ে নেওয়ার পক্ষে। এ বার চলতি মাসে টাটাদের ছ’টি সংস্থায় ডাকা বিশেষ সাধারণ সভায় (ইজিএম) ডিরেক্টর পদ থেকেও সাইরাসকে সরাতে সমর্থন চেয়ে বুধবার শেয়ারহোল্ডারদের সরাসরি চিঠি দিয়ে আর্জি জানালেন রতন টাটা। যেখানে মিস্ত্রিকে সরানোর কারণ ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। বলেছেন, গোষ্ঠী পরিচালনায় তাঁর অক্ষমতা ও স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে না-চাওয়ার কথা। দাবি করেছেন, সেগুলির পর্ষদে মিস্ত্রি উপস্থিত থাকলে সংস্থাগুলির কাজকর্ম আটকে যেতে পারে।
মিস্ত্রিকে সরানোর লক্ষ্যে ডিসেম্বরে যে ছ’টি সংস্থায় ইজিএম ডাকা হয়েছে সেগুলি হল, টিসিএস, ইন্ডিয়ান হোটেলস, টাটা স্টিল, টাটা মোটরস, টাটা কেমিক্যালস, টাটা পাওয়ার।
মাস দেড়েক ধরেই তীব্র বাগ্যুদ্ধে পরস্পরকে চাঁচাছোলা ভাষায় দোষারোপ করে চলেছেন রতন টাটা ও সাইরাস মিস্ত্রি। সেই ধারা জারি রেখে বুধবারের চিঠিতে রতন টাটা বলেন, এত বড় গোষ্ঠী পরিচালনায় মিস্ত্রির অক্ষমতা ও তাঁর প্রতি টাটাদের আস্থা হারানোর কথা। তিনি জানান, টাটা সন্সের প্রাক্তন কর্ণধারের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক ক্রমশ খারাপ হচ্ছিল। তা সংশোধনের চেষ্টা হলেও ফল মেলেনি। তাই বাধ্য হয়েই তাঁকে সরাতে হয়েছে। টাটার দাবি, মিস্ত্রিকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগের প্রস্তাব দেওয়া হলেও তিনি মানতে অস্বীকার করেন ও পর্ষদে বিষয়টি তোলার কথা বলেন। সেই মতোই তাঁকে সরানো হয়।
চিঠিতে রতন টাটার যুক্তি, গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান ছিলেন বলেই মিস্ত্রি অন্য সংস্থাগুলির ডিরেক্টর নিযুক্ত হন। ফলে শীর্ষ পদ থেকে সরার পরে ডিরেক্টরের পদগুলি থেকে তাঁর ইস্তফা দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু সেটা না-হওয়ায় মিস্ত্রির উপস্থিতি সংস্থাগুলির পর্ষদে উদ্বেগজনক প্রভাব ফেলছে। তাঁর দাবি, বিশেষত টাটা সন্সের বিরুদ্ধে মিস্ত্রির আগ্রাসী মনোভাব সংস্থাগুলির কাজে বিঘ্ন ঘটাতে পারে। কাজ থমকে যেতে পারে তাদের। তাই তাঁকে সরানোর জন্য শেয়ারহোল্ডারদের কাছে আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
টাটাদের কিছু ব্যবসায় ভুল লগ্নির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মূলত রতন টাটাকেই বিঁধেছিলেন মিস্ত্রি। এ দিন টাটার বক্তব্য, কিছু ব্যবসা খুব সফল হতে পারে, আবার কিছু ক্ষেত্রে লাভ করতে সময় লাগে। কিন্তু লগ্নি করা হয় শেয়ারহোল্ডাদের দীর্ঘমেয়াদি লাভের কথা মাথায় রেখে। আদৌ লাভজনক হবে না বুঝলেই সরে আসার প্রশ্ন ওঠে।
টাটাদের বিরুদ্ধে সংস্থা পরিচালনা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন মিস্ত্রি। টাটার দাবি, তাঁরা পরিচালনার সেরা মাপকাঠি মেনে চলেন। একই সঙ্গে তাঁকে স্বাধীন ভাবে কাজ করতে না-দেওয়া নিয়ে সাইরাসের অভিযোগ আরও একবার উড়িয়ে দাবি করেছেন, সব সংস্থা পর্ষদের পরামর্শ মেনেই স্বাধীন ভাবে কাজ চালায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy