Advertisement
০৭ মে ২০২৪

আঁধারেই চলছে যাতায়াত

বাতিস্তম্ভ থাকলেও তাতে আলো নেই। কোথাও ভেঙে গিয়েছে বাল্ব। কোথাও বা বাল্বের জায়গায় গোঁজা রয়েছে গাছের ডালপালা। তাই অন্ধকার রাস্তা। সেই পথেই ঝুঁকি নিয়ে চলছে অসংখ্য মানুষের যাতায়াত। ছবিটা বজবজের দু’নম্বর ওয়ার্ডের ফেরিঘাট সংলগ্ন এলাকার। বজবজের মহাত্মা গাঁধী রোড হয়ে হাওড়া যেতে হলে বজবজ পাটকলের পাশ দিয়ে ফেরিঘাট পার হতে হয়। সেখানেই ঘুটঘুটে অন্ধকার রাস্তা দিয়ে প্রতি দিন যাতায়ত করেন বহু মানুষ।

অন্ধকারেই পথ চলা। ছবি: অরুণ লোধ

অন্ধকারেই পথ চলা। ছবি: অরুণ লোধ

সুপ্রিয় তরফদার
শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০১৫ ০০:০৩
Share: Save:

বাতিস্তম্ভ থাকলেও তাতে আলো নেই। কোথাও ভেঙে গিয়েছে বাল্ব। কোথাও বা বাল্বের জায়গায় গোঁজা রয়েছে গাছের ডালপালা। তাই অন্ধকার রাস্তা। সেই পথেই ঝুঁকি নিয়ে চলছে অসংখ্য মানুষের যাতায়াত। ছবিটা বজবজের দু’নম্বর ওয়ার্ডের ফেরিঘাট সংলগ্ন এলাকার।
বজবজের মহাত্মা গাঁধী রোড হয়ে হাওড়া যেতে হলে বজবজ পাটকলের পাশ দিয়ে ফেরিঘাট পার হতে হয়। সেখানেই ঘুটঘুটে অন্ধকার রাস্তা দিয়ে প্রতি দিন যাতায়ত করেন বহু মানুষ।
কী অবস্থায় রয়েছে রাস্তাটি?
রাস্তাটির এক পাশের বজবজ জুট মিলের প্রায় বারো–পনেরো ফুট উঁচু দেওয়াল। অন্য পাশেও রয়েছে উঁচু দেওয়াল। তার ওপারে মাঠ। কাছেই কিছু বসতি থাকলেও রাস্তাটি বেশ ফাঁকা। এই রাস্তার এক পাশে রয়েছে বেশ কয়েকটি বাতিস্তম্ভ। তার মধ্যে বেশ কিছুর বাল্ব ভাঙা রয়েছে। কয়েকটি ক্ষেত্রে আবার ভিতরে গাছের ডালপালা গোঁজা রয়েছে।

রাস্তা দিয়ে গঙ্গার পাড়ের দিকে এগোলেই কিছু দূরে ঝাউতলা ফেরিঘাট। তার পশেই রয়েছে জ্যোতি বসু উদ্যান। সারা দিনই প্রায় পনেরো মিনিট অন্তর ফেরি চলে সেখান থেকে। কিন্তু সন্ধ্যার পর থেকে এলাকা ক্রমেই ফাঁকা হতে শুরু করে। আশেপাশে কোনও বসত বাড়িও নেই। কিছু দূরে অবশ্য রয়েছে একটি খাটাল। ফেরিঘাট থেকে তার দূরত্ব বেশ খানিকটা। যে কারণে ঝুঁকি থেকেই যায়। বিশেষত গঙ্গার ধারের এলাকায় রাত ন’টা থেকেই বেশির ভাগ দোকান বন্ধ হতে শুরু করে। কিন্তু ফেরি চলাচল করে প্রায় রাত সাড়ে দশটা পর্যন্ত। যে কারণে সন্ধ্যার পর থেকে ওই অন্ধকার রাস্তায় প্রাণ হাতে করে যাতায়াত করতে হয় বলে অভিযোগ করছেন নিত্যযাত্রীরা।

এক তরুণী মোনালিসা দাস বলেন, ‘‘যতক্ষণ পর্যন্ত নৌকা ফেরিঘাটে থাকে ততক্ষণ তবুও কয়েকটি হাতে গোনা লোক দেখা যায়। কিন্তু ফেরিঘাট থেকে নৌকা চলে যাওয়ার পরে এলাকাটি কার্যত অন্ধকারে ঢেকে যায়ে। সঙ্গে আলো না থাকলে গাড়ির আলোই ভরসা।’’

নিত্যযাত্রী এক ব্যবসায়ী জানান, এর আগেও বহুবার ওই অংশে আলো লাগানো হয়েছিল। কিন্তু কিছু দিন পর পরই তা ভেঙে যায় হয়। কে বা কারা তা ভেঙে দেয় বলে অভিযোগ।

এলাকার বাসিন্দারা এই কথা শোনার পরে আরও আতঙ্কে ভুগছেন। তাঁদের কথায় পুরসভা যদি গাফিলতি করে আলো না লাগায় তবে তা ক্ষোভের কারণ। কিন্তু সত্যি যদি কেউ তা ভেঙে দেয় তবে তা আরও ভয়ের কারণ। কী উদ্দেশ্যে আলো ভাঙা হয় তা জানা দরকার। এলাকাবাসীরা চুরি, ছিনতাইয়ের আশঙ্কা করছেন। পুরসভার দু’নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত এই এলাকা। এপ্রিলেই বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। গত বারের মতো এবারেও বোর্ড তাঁদের দখলেই। কিন্তু সেখানেও কেন এমন অবস্থা?

পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তৃণমূলের গৌতম দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘সরু রাস্তায় বেশি সংখ্যক আলোকস্তম্ভ লাগানো সম্ভব নয়। অনেক বারই আলো লাগানো হয়েছে, কিন্তু কে বা কারা যেন ভেঙে দেয়। দেখছি যত তাড়াতাড়ি এই সমস্যার সমাধান করা যায়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE