বিক্রম চট্টোপাধ্যায়।
পুলিশের দাবি, তিনি নিখোঁজ। তাই নায়ককে এখনও পাকড়াও করা যায়নি। তবে, অনিচ্ছাকৃত ভাবে মৃত্যু ঘটানোর ধারায় অভিযুক্ত করে তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে লালবাজার।
পুলিশ সূত্রের খবর, কলকাতা পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের চূড়ান্ত অনুমতি না-মিললেও, দুর্ঘটনায় মডেল সোনিকা সিংহ চৌহানের মৃত্যুর ঘটনায় স্টিয়ারিংয়ে থাকা বন্ধু, অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায়ের বেসামাল ও বেপরোয়া আচরণকেই দায়ী করা হবে বলে ঠিক হয়েছে। তাই তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিটে ৩০৪ ধারা, অর্থাৎ অনিচ্ছাকৃত ভাবে মৃত্যু ঘটানোর অভিযোগ আনা হবে। বেপরোয়া গাড়ি চালানোর অভিযোগও থাকার কথা।
২৯ এপ্রিল ভোরে রাসবিহারী অ্যাভিনিউয়ে লেক মলের সামনে ঘটে দুর্ঘটনা। চালকের আসনে থাকা বিক্রম বেঁচে গেলেও পাশে বসা সোনিকা মারা যান। পুলিশ প্রথমে বিক্রমের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগে মামলা রুজু করে। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করে ওই মামলায় জামিন নেন বিক্রম। তাঁকে দু’দফায় জেরা করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বিক্রম-সোনিকার বন্ধুদেরও। তদন্তকারীদের দাবি, সব নথি পাওয়ার পরেই পুলিশ নিশ্চিত হয়, বিক্রম মত্ত অবস্থাতেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। এর পর অভিনেতার বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত ভাবে মৃত্যু ঘটানোর ধারা যুক্ত হয়। তার পর থেকেই নিখোঁজ অভিযুক্ত অভিনেতা।
আরও পড়ুন:
তাঁকে গ্রেফতারের সম্ভাবনা বাড়তেই বিক্রম কলকাতা হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেন। সেই মামলার শুনানি হওয়ার কথা এ মাসে। এ দিকে, ‘নিখোঁজ’ হওয়ার পরেও সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে বিক্রমকে অনলাইন দেখা গিয়েছে। তবু তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি কেন?
লালবাজারের দাবি, কোনও অভিযুক্ত হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করলে তাঁকে গ্রেফতার করা হয় না। তবে তাঁর উপরে নজরদারি থাকে। বিক্রমের উপরেও নজরদারি চলছে বলে পুলিশ জানায়। গোয়েন্দাদের একাংশ জানান, শুনানি না-হলেও চার্জশিট তৈরিতে বাধা থাকে না। কারণ ফরেন্সিক রিপোর্ট বলছে, ওই রাতে বিক্রমের গাড়ির গতি ৯০-এর নীচে নামেনি। দুর্ঘটনার সাড়ে চার সেকেন্ড আগেও ঘণ্টায় ১০৫ কিলোমিটার গতিবেগ ছিল বলে জানা গিয়েছে। ফলে বাধা নেই চার্জশিট দিতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy