জেলা গঠন হওয়ার পরে পেরিয়ে গিয়েছে তিন বছর। প্রতিশ্রুতি থাকলেও এখনও কোনও শিল্প তালুক তৈরি হয়নি। অথচ জেলায় কর্মসংস্থানের জন্য শিল্প তালুকের প্রয়োজন রয়েছে বলে জানাচ্ছেন সাধারণ বাসিন্দারা।
জেলা বণিক মহলও চায় জেলায় দ্রুত শিল্প তালুক গড়ে উঠুক। জেলার একদিকে অসম, একদিকে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভুটান। অন্যদিকে কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলা। উত্তর-পূর্ব ভারতে যোগাযোগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পথ গিয়েছে আলিপুরদুয়ার জেলার মধ্যে দিয়ে। রয়েছে উত্তরপূর্ব ভারতের সঙ্গে রেল যোগাযোগও। আলিপুরদুয়ারে বিচ্ছিন্ন ভাবে স্টিলের আসবাবের ছোট কারখানা তৈরি হলেও শিল্প তালুক না থাকায় অসুবিধের কথা স্বীকার করে নিচ্ছেন উদ্যোগপতিরা। এমনই এক কারখানার মালিক নন্দন ঘোষ বলেন, “নিজেরা জমি কিনে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে কারখানা গড়েছি। তাতে সময় ও বিনিয়োগ বেশি লেগেছে। শিল্প তালুক হলে সেই সমস্যা থেকে অনেকটাই রেহাই মিলবে।’’ এক সর্ষের তেল কারখানার মালিক জানান, শিল্প তালুক গড়ার পাশাপাশি বিদ্যুৎ ও বিভিন্ন করে ছাড় দেওয়ার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করলে ছোট উদ্যোগপতিরা আরও নতুন কারখানা গঠন করতে উৎসাহ দেখাবে।
আলিপুরদুয়ার চেম্বার অফ কর্মাস অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজের সাধারণ সম্পাদক প্রসেনজিৎ দে বলেন, “জেলায় নানা আনাজ হয়। সুগন্ধি গাছ ও ঔষধি গাছ রয়েছে। ভুট্টা চাষ হচ্ছে। এখানে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের অফুরন্ত কাঁচামাল রয়েছে বলে তাঁর দাবি। বলেন, ‘‘উৎসাহী উদ্যোগপতি রয়েছেন। শিল্প তালুক গড়লে অনেক ছোট শিল্প গড়ে তোলা সম্ভব হবে। এতে জেলায় কর্মসংস্থানও বাড়বে।’’
আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক দেবীপ্রসাদ করণম বলেন, “জেলা শিল্প তালুকের জন্য এথেলবাড়িতে ৬৪ একর ও জয়গাঁয় ১১ একর জায়গা দেখা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে সীমানা প্রাচীরের জন্য প্রায় আড়াই কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।’’ উদ্যোগপতিদের সঙ্গে বসে পরিকাঠামো নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানান তিনি। রাস্তা, পানীয় জল, বিদ্যুৎ-সহ শিল্পের নানা সুযোগ করার পাশাপাশি পার্কিং ও গোডাউন তৈরি করা হবে বলেও জানান তিনি। বিনিয়োগের জন্য চেষ্টা চলছে বলে জানান জেলাপরিষদের সভাধিপতি মোহন শর্মাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy