Advertisement
২১ মে ২০২৪
প্রবন্ধ ১...

ইউপিএ ২-ও এনডিএ-র তুলনায় বেশি সফল

বহু কারণে মনমোহন সিংহের সরকারের সমালোচনা করা যায়। কিন্তু তাঁর আমলে আর্থিক বৃদ্ধির হার মুখ থুবড়ে পড়েছে, এমন দাবি করার উপায় নেই। দুনিয়াজোড়া আর্থিক মন্দার ধাক্কা সামলেও এই আমলে আয়বৃদ্ধির গড় হার পূর্বসূরি এনডিএ-র তুলনায় বেশি। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের লড়াই কোন প্রশ্নকে ঘিরে হবে, তা নিয়ে বহু জল্পনা-কল্পনা হয়েছে। বিজেপি যখন নরেন্দ্র মোদীকেই তাদের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করল, তখন অনেকেই ঘাড় নেড়ে রায় দিয়েছিলেন, লড়াই তবে ধর্মনিরপেক্ষতা বনাম হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির। দেখা গেল, বিজেপি-র প্রচারে হিন্দুত্বের প্রসঙ্গ তেমন ভাবে এলই না। বরং, তর্কের কেন্দ্রে এসে দাঁড়াচ্ছে অর্থনীতি।

পরিসংখ্যান যাঁদের পক্ষে। পালনিয়াপ্পন চিদম্বরম, মনমোহন সিংহ ও সনিয়া গাঁধী। ছবি: রমাকান্ত কুশওয়াহা।

পরিসংখ্যান যাঁদের পক্ষে। পালনিয়াপ্পন চিদম্বরম, মনমোহন সিংহ ও সনিয়া গাঁধী। ছবি: রমাকান্ত কুশওয়াহা।

মৈত্রীশ ঘটক ও অমিতাভ গুপ্ত
শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০১৪ ০০:১০
Share: Save:

২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের লড়াই কোন প্রশ্নকে ঘিরে হবে, তা নিয়ে বহু জল্পনা-কল্পনা হয়েছে। বিজেপি যখন নরেন্দ্র মোদীকেই তাদের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করল, তখন অনেকেই ঘাড় নেড়ে রায় দিয়েছিলেন, লড়াই তবে ধর্মনিরপেক্ষতা বনাম হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির। দেখা গেল, বিজেপি-র প্রচারে হিন্দুত্বের প্রসঙ্গ তেমন ভাবে এলই না। বরং, তর্কের কেন্দ্রে এসে দাঁড়াচ্ছে অর্থনীতি।

প্রচার বনাম বাস্তব

উন্নয়ন, আয় বৃদ্ধি, বিনিয়োগের মতো প্রশ্ন যদি রাজনীতির কেন্দ্রে ঠাঁই পায়, গণতন্ত্রের পক্ষে তার চেয়ে ভাল আর কী-ই বা হতে পারে? মুশকিল হল, অর্থনীতির আলোচনার কেন্দ্রে থাকে সংখ্যা। এখানে এসেই ধাক্কা খেতে হয়। ভারতে অর্থনীতি নিয়ে বিজেপির, বস্তুত মোদীর, যে প্রচার চলছে তার মধ্যে, কী আশ্চর্য, সংখ্যা নেই! আছে মতামত। দুই গোত্রের মতামত। প্রথম, মোদী তাঁর শাসনকালে গুজরাতে অর্থনৈতিক জাদু দেখিয়েছেন; এবং দ্বিতীয়, ইউপিএ ভারতীয় অর্থনীতিকে তলানিতে নিয়ে গিয়েছে। আয়বৃদ্ধির হার ধাক্কা খেয়েছে, বিদেশি বিনিয়োগ তলানিতে এসে ঠেকেছে, দুর্নীতির প্রাবল্যে দেশে বিনিয়োগের পরিবেশ নষ্ট হয়েছে।

গণতন্ত্রে এক দল বেশি দিন সরকারে থাকলে নানা বিক্ষোভ জমা হবে, এবং ভোটাররা পরিবর্তন চাইবেন, এটা স্বাভাবিক, এমনকী কাম্যও। যে কোনও রাজনৈতিক দলের প্রচারে নিজেদের গুণগান এবং প্রতিপক্ষের নিন্দা থাকবে, তা-ও স্বাভাবিক। কিন্তু, সেই গুণগান এবং নিন্দার যুক্তি যদি অর্থনীতির হয়, এবং তার পিছনে যদি পরিসংখ্যানের সমর্থন না থাকে, তা হলে খুব মুশকিল। তখন আর সেটা অর্থনীতির লড়াই থাকে না, নিছক বিজ্ঞাপনের গল্প হয়ে দাঁড়ায়।

মোদীর আমলে গুজরাতের অবিশ্বাস্য উন্নয়ন নিয়ে যে গুজবটা বাজারে চলছে, তা যে পরিসংখ্যানের কষ্ঠিপাথরে উতরোয় না, সেই আলোচনা অন্য একটি লেখায় করব। এই লেখায় অন্য গুজবটা, অর্থাৎ ইউপিএ-র ‘অর্থনৈতিক ব্যর্থতা’-কে পরিসংখ্যানের আলোয় পরীক্ষা করে দেখব। ইউপিএ সরকারকে গাল দেওয়ার হাজারটা কারণ আছে। কিন্তু সেই তালিকায় আথির্ক বৃদ্ধি নেই। এই আমলে আর্থিক বৃদ্ধির ছবিটা ঠিক কী, সেটাই এই লেখায় বোঝার চেষ্টা করব।

সত্যিই গত দুই বছরে ভারতে আয়বৃদ্ধির হার ধাক্কা খেয়েছে। ২০১২ সালে ভারতে জাতীয় আয় বেড়েছিল ৩.২৪ শতাংশ হারে, ২০১৩ সালে তা দাঁড়িয়েছে ৩.৮ শতাংশে। কিন্তু, এই দু’বছরের আয়বৃদ্ধির হার কতটা খারাপ, সেটা বোঝার মাপকাঠি কী? আগের কয়েক বছরের সঙ্গে তুলনা করে দেখা যাক। ২০১০ সালে, গোটা দুনিয়া যখন আর্থিক মন্দার প্রকোপে কাঁপছিল, সে বছর ভারতে জাতীয় আয় বেড়েছিল ১০.৫৫ শতাংশ হারে। সে বছর চিনে এই হার ছিল ১০.৪৫ শতাংশ, ভারতের চেয়ে সামান্য কম। তার আগের বছর, গোটা দুনিয়ার অর্থনীতি যেখানে হ্রাস পেয়েছিল, ভারতে জাতীয় আয় বেড়েছিল ৮.৪৮ শতাংশ হারে। এই অঙ্কগুলির পাশে ফেলে দেখলে গত দু’বছরের আয়বৃদ্ধির হার সত্যিই কম।

কিন্তু, দুটো কথা মাথায় রাখা প্রয়োজন। প্রথমত, আর্থিক মন্দা সব দেশের অর্থনীতিকেই কাবু করেছে। ২০১২ এবং ২০১৩ সালের আয়বৃদ্ধির হারকে এই প্রেক্ষিতে দেখা প্রয়োজন। এই দু’বছরে চিনেও আয়বৃদ্ধির হার অনেকখানি কমেছে। দ্বিতীয়ত, দশ বছর ধরে যে সরকার ক্ষমতায় থেকেছে, তার বিচার শেষ দু’বছরের পরিসংখ্যানের ওপর নির্ভর করে হতে পারে না। ২০০৪ থেকে ২০১১ পর্যন্ত ভারতে যে হারে মাথাপিছু জাতীয় আয় বেড়েছে, তা চিন বাদে দুনিয়ার আর কোনও দেশে কখনও হয়নি। ২০০৫ থেকে ২০০৭, পর পর তিন বছর এই হার নয় শতাংশের বেশি ছিল। এই তিন বছরে গোটা দুনিয়ায় মাথাপিছু জাতীয় আয়বৃদ্ধির হার পাঁচ শতাংশের ধারেকাছে ছিল। অর্থাৎ, গোটা দুনিয়ায় আর্থিক অবস্থা যেমনই থাকুক, ইউপিএ-র আমলে ভারত তার তুলনায় এগিয়ে ছিল।

গত কুড়ি বছরে সেরা

কোনও সরকারের শাসনকালের সম্পূর্ণ সময় জুড়ে অর্থনীতির কী অবস্থা ছিল, সেটা সরকারের কৃতিত্বের বা ব্যর্থতার একটা বড় মাপকাঠি। ১৯৯১ সালে ভারত উদার অর্থনীতির পথে হাঁটতে আরম্ভ করে। কাজেই, সেই বছরটাকে একটা নতুন পর্বের সূচনা হিসেবে দেখা যেতেই পারে। এই নতুন পর্বে ভারত মোট চারটি সরকারের শাসন দেখেছে (১৯৯৬ সালে বিজেপি-র ১৩ দিনের সরকারটিকে বাদ দিয়ে)।

সঙ্গের সারণি থেকে পরিষ্কার, আয়বৃদ্ধিতে সবচেয়ে সফল প্রথম দফার ইউপিএ সরকার। এই তথ্যে অবশ্য অবাক হওয়ার তেমন কারণ নেই। ২০০৮ এর বিশ্বব্যাপী মন্দা শুরু হবার আগে ভারত ও চিনের আজব বৃদ্ধির তাজ্জব গল্প সারা পৃথিবী জানে। অবাক হওয়ার মতো তথ্য হল, ইউপিএ-র দ্বিতীয় দফাতেও গড় আয়বৃদ্ধির হার এনডিএ-র তুলনায় অনেকটাই বেশি। এই তথ্যটিতে এসে একটু থমকে দাঁড়ানো ভাল। যে আমলে অর্থনীতির গতিভঙ্গের কথা বলেই নরেন্দ্র মোদী তাঁর প্রচারের সুর তারসপ্তকে বেঁধেছেন, সেই আমলেও ইউপিএ তার প্রতিপক্ষ এনডিএ-র তুলনায় ভাল অবস্থায় আছে! বস্তুত, ১৯৯৮ সালে এনডিএ ক্ষমতায় আসার আগে যে দু’টি সরকার ভারত শাসন করেছিল, সেই আমলেও বাৎসরিক আয়বৃদ্ধির হার এনডিএ-র তুলনায় খুব কম নয়। ১৯৯২ থেকে ১৯৯৭ পর্যন্ত ভারতীয় অর্থনীতি বছরে গড়ে ৬.০১ শতাংশ হারে বেড়েছে, আর ১৯৯৮ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত বেড়েছে ৫.৮৩ শতাংশ হারে। নরেন্দ্র মোদীর প্রচারযন্ত্রের কল্যাণে যাঁরা বিশ্বাস করে ফেলেছেন যে ইউপিএ সরকারই আর্থিক বৃদ্ধির মতো অতি জরুরি একটা জিনিসের সর্বনাশ করেছে, তাঁরা আর এক বার ভেবে দেখুন।

মন্দার প্রভাব বাদ রাখলে

এত তুলনার পরেও কেউ প্রশ্ন করতে পারেন, দেশের অর্থনীতির চলন কি আর শুধু দেশের কারণগুলোর ওপরই নির্ভর করে? আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির কথা ভুলে গেলে চলবে? প্রশ্নটা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়ার নয়। এনডিএ আর ইউপিএ-র তুলনা যদি সত্যিই করতে হয়, তবে আন্তর্জাতিক প্রভাবগুলোকে ছেঁটে ফেলে করতে হবে। সেই তুলনা করার একটা মান্য পদ্ধতি আছে। ভারতের আয়বৃদ্ধির হার থেকে যদি গোটা দুনিয়ার গড় আয়বৃদ্ধির হারকে বিয়োগ করে দেওয়া হয়, তবে আন্তর্জাতিক প্রভাবকে ছেঁটে ফেলা যায়। কারণ, যে আন্তর্জাতিক ঘটনাক্রম ভারতে প্রভাব ফেলছে, সেটা বাকি দেশগুলোতেও প্রভাব ফেলছে, ফলে দুনিয়ার গড়ে সেই প্রভাব আছে। সেটা বাদ দিলে যা পড়ে থাকে, ভাল হোক আর মন্দ, সেই অংশটুকু নিতান্তই ভারতের। এ বার যদি সারণির দ্বিতীয় অংশের দিকে তাকান, তবে ভারত আর চিনের যে হারগুলো দেখতে পাবেন, তা এই ‘নিজস্ব আয়বৃদ্ধির হার’।

এই হিসেবেও দেখা যাচ্ছে, ইউপিএ-র তুলনায় এনডিএ-র অবস্থা খারাপ। অর্থাৎ, আন্তর্জাতিক প্রভাব ছেঁটে ফেলার পর, শুধু সরকারের ক্ষমতায় যেটুকু আয়বৃদ্ধি হয়েছে, তাতেও এনডিএ পিছিয়ে আছে। কিন্তু, আসল বিস্ময়ের কারণ অন্যত্র এই দৌড়ে ফার্স্ট ইউপিএ এক নয়, ইউপিএ দুই। ইউপিএ একের সঙ্গে দুইয়ের ফারাক পরিসংখ্যানগত ভাবে তাৎপর্যপূর্ণ নয় বটে, কিন্তু এটাও অনস্বীকার্য যে বিজ্ঞাপনী প্রচার যাকে ক্লাসের লাস্ট বয় হিসেবে দেগে দিয়েছে, দেখা যাচ্ছে, সেই আমলেই ভারতের অর্থনীতি নিজের জোরে সবচেয়ে ভাল করেছিল। কিন্তু এই আমলেই আর্থিক মন্দার সুনামি আছড়ে পড়েছিল ভারতের ওপর, ফলে নিজের জোরে ইউপিএ ২ যতটুকু করতে পেরেছিল, মন্দা তার অনেকটাই নষ্ট করে দিল।

এ বার চিনের পরিসংখ্যানের দিকে তাকাই। যে ২০ বছরের পরিসংখ্যান নিয়ে চর্চা করছি, সেই গোটা সময়কাল জুড়েই চিন ভারতের চেয়ে এগিয়ে। কিন্তু, একমাত্র ২০০৯-২০১২ সময়কালে, অর্থাৎ ভারতে যখন ইউপিএ-র দ্বিতীয় দফার শাসন চলছে, তখনই একটা অদ্ভুত ঘটনা ঘটল। তার আগের সময়কালের তুলনায় ভারতে যখন গড় আয়বৃদ্ধির হার বাড়ল, চিনে তখন কমল। অর্থাৎ, আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিকে সরিয়ে রাখলে ভারত এই সময়ে তুলনামূলক ভাবে চিনের চেয়ে ইতিবাচক অবস্থায় ছিল।

বিনিয়োগ, পরিকাঠামো

আয়বৃদ্ধির পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগের হার কমে যাওয়া নিয়েও জোর প্রচার চলেছে। সেখানে ছবিটা কী রকম? পর পর দু’বছর বিনিয়োগের পরিমাণ অনেকখানি কমার পর এনডিএ-র শেষ বছরে, ২০০৩-০৪ সালে, ভারতে মোট প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের অঙ্কটি ছিল ২২২.৯ কোটি ডলার। সেখানে, ২০১১-১২ সালে ভারতে মোট প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ এসেছিল ৪,৬৫৫.৩ কোটি ডলার। ইউনাইটেড নেশনস কনফারেন্স অন ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের পরিসংখ্যান বলছে, ২০০৭ সালে, আর্থিক মন্দা আরম্ভ হওয়ার অব্যবহিত আগে, প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের গন্তব্য হিসেবে ভারত গোটা দুনিয়ায় ৩৫তম স্থানে ছিল। আর মন্দা যখন একেবারে চরমে, সেই ২০১০ সালে ভারত উঠে এসেছিল ২৩তম স্থানে। কাজেই, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ইউপিএ সরকারের ওপর যথেষ্ট আস্থা রেখেছেন বলেই দেখা যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে আরও একটি তথ্য উল্লেখ করা প্রয়োজন ইউপিএ-র আমলে শেয়ার বাজারে বিদেশি বিনিয়োগের তুলনায় শিল্পে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে অনেক বেশি।

প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ কোন খাতে এসেছে, সেটাও একটা প্রশ্ন। সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ এসেছে নির্মাণ ক্ষেত্রে, যাকে অর্থনীতির ভিত্তিপ্রস্তর বললে ভুল বলা হবে না। ২০০৮-০৯ সালে মোট প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের ২১ শতাংশ এসেছিল এই খাতে। প্রতি বছর অনুপাতটি বেড়েছে। ২০১১-১২ সালে তা প্রায় ৪০ শতাংশে দাঁড়িয়েছিল। পরের বছর তা হয়েছে ৩৬ শতাংশ।

পরিকাঠামো খাতেও বিনিয়োগের পরিমাণ বেড়েছে। ২০০২-০৩ এবং ২০০৩-০৪ সালে, অর্থাৎ এনডিএ-র শেষ পর্যায়ে এই খাতে দেশের জাতীয় আয়ের ৪.৭৭ এবং ৪.৭৬ শতাংশ বিনিয়োগ করা হয়েছিল। ইউপিএ-র আমলে বিনিয়োগের পরিমাণ বেড়েছে। ২০১০-১১ সালে অঙ্কটি দাঁড়িয়েছিল জাতীয় আয়ের ৮.৪১ শতাংশে। ২০১১-১২ সালে এই হার খানিক কমে ৬.৯৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। লক্ষণীয়, কমার পরেও বিনিয়োগের অনুপাত এনডিএ-র আমলের তুলনায় ঢের বেশি।

মোদ্দা কথা হল, ইউপিএ-র আমলের ফলাফল এনডিএ-র তুলনায় ভাল। তবে, অর্থনীতির স্বাস্থ্যভঙ্গের কিছু ইঙ্গিতও যে পাওয়া যাচ্ছে, তা-ও আমরা উল্লেখ করেছি। দুর্নীতির মতো অন্য সমস্যাও আছে। কোন চিকিৎসকের হাতে পড়লে অর্থনীতির স্বাস্থ্য ফিরবে, সেটা অন্য প্রশ্ন। কিন্তু প্রচারের চটকে বিভ্রান্ত হয়ে চটজলদি টোটকার ওপর ভরসা না করাই ভাল। অর্থনীতির স্বাস্থ্য নিয়ে তুমুল তর্ক চলুক, কিন্তু প্রকৃত পরিসংখ্যানের নিরিখে।

মৈত্রীশ ঘটক লন্ডন স্কুল অব ইকনমিকস-এ অর্থনীতির অধ্যাপক

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE