Advertisement
২৯ এপ্রিল ২০২৪
প্রবন্ধ ১

পুরনো দলিল, না নতুন বাস্তব?

এটা ঠিকই যে, নানা প্রশ্নে, ধর্মনিরপেক্ষতার প্রশ্নেও কংগ্রেসের দুর্বলতা রয়েছে। কিন্তু কংগ্রেসকে বাদ রেখে শুধু বাম ঐক্য দিয়ে দেশ জুড়ে বিজেপি’র অভিযান প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। কেউ কেউ এই সাদা সত্য মানতে চাইছেন না।এই সত্য অনস্বীকার্য যে, বামপন্থী আন্দোলন আগে কখনও এমন ছন্নছাড়া, দিশাহীন অবস্থায় পড়েনি। ঘটনা হল, গত রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোট নিয়ে এক দিকে বামফ্রন্টের বড় শরিক সিপিআইএম দলের কেন্দ্রীয় কমিটির ফরমান ও বামফ্রন্টের শরিক দলের চাপ, এবং অন্য দিকে সিপিআইএম দলের জোটপন্থী নেতাদের বিভিন্ন মঞ্চে, বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন নেতার ভিন্ন অবস্থান কর্মী-মহলে ব্যাপক বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে।

অচলায়তন? সিপিআইএম রাজ্য কমিটির বৈঠক। কলকাতা, জুন ২০১৬। ছবি: সুদীপ্ত বন্দ্যোপাধ্যায়

অচলায়তন? সিপিআইএম রাজ্য কমিটির বৈঠক। কলকাতা, জুন ২০১৬। ছবি: সুদীপ্ত বন্দ্যোপাধ্যায়

অসীম চট্টোপাধ্যায়
শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০১৬ ০০:০০
Share: Save:

এই সত্য অনস্বীকার্য যে, বামপন্থী আন্দোলন আগে কখনও এমন ছন্নছাড়া, দিশাহীন অবস্থায় পড়েনি। ঘটনা হল, গত রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোট নিয়ে এক দিকে বামফ্রন্টের বড় শরিক সিপিআইএম দলের কেন্দ্রীয় কমিটির ফরমান ও বামফ্রন্টের শরিক দলের চাপ, এবং অন্য দিকে সিপিআইএম দলের জোটপন্থী নেতাদের বিভিন্ন মঞ্চে, বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন নেতার ভিন্ন অবস্থান কর্মী-মহলে ব্যাপক বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। অথচ নির্বাচনপর্বে বামপন্থী আন্দোলন মোটেও দিশাহীন ছিল না। এমনকী বার বার নির্বাচনোত্তর সন্ত্রাস নিয়ে বাম-কংগ্রেস জোট একযোগে পথে নেমেছিল। কিন্তু জোট নিয়ে বিতর্ক এই সব প্রয়াসকেই আপাতত ধামাচাপা দিয়েছে।

এ কথা বলার অর্থ এই নয় যে, এই জোট-রাজনীতির কোনও দুর্বলতা ছিল না। বস্তুত দু’টি দুর্বলতা আশু মেরামতি দাবি করে, অন্যথায় জনমানসে আশা জাগিয়েও জোট-রাজনীতি নিষ্ফলা থেকে যাবে।

এক, জনগণের জোটের প্রশ্ন। এ কথা অনস্বীকার্য যে, জনসাধারণের প্রত্যাশার চাপেই বাম-কংগ্রেস জোটবদ্ধ হয়েছে, বিশেষ করে সেই সব অঞ্চলে, যেখানে টিএমসি-র মাত্রাছাড়া সন্ত্রাস বাম-কংগ্রেসকে জোটবদ্ধ হতে বাধ্য করেছে। কিন্তু মুখে ‘জনগণের জোট’ বললেও আদতে তা হয়েছে বাম ও কংগ্রেস দলেরই জোটবদ্ধতার ফসল। সেখানে সিভিল সোসাইটির আন্দোলনের বা সংগঠনের বা বিশিষ্টজনদের স্থান নেই। এ দেশে, এমনকী এই রাজ্যেও, নাগরিক সমাজের সংগঠন ও আন্দোলন এতটাই দুর্বল যে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলগুলি, বিশেষত বামপন্থীরা প্রায়শই এগুলিতে দলীয় নিয়ন্ত্রণ কায়েম করতে চান। ‘চিটফান্ড সাফারার্স ইউনিটি ফোরাম’ ও ‘সেভ ডেমোক্রেসি ফোরাম’-এর আন্দোলনেও প্রাথমিক ভাবে এঁরা কেউ উদ্যোগ নেননি, পরে এগুলিতে যোগ দেন। এঁদের যোগদানে আন্দোলনের শক্তি বাড়ে। কিন্তু পরে দলীয় নিয়ন্ত্রণ কায়েম করার চেষ্টায় এই মঞ্চগুলিতে ভাঙন ধরে বা দলীয় দখল কায়েম হয়, সংগঠনগুলি দলীয় পরিচিতি পায় এবং তার ফলে সাধারণ গণতান্ত্রিক মানুষজন মুখ ফিরিয়ে নেয়। জনসাধারণের উদ্যোগ, সক্রিয়তা, সৃজনশীলতা উন্মোচিত না হলে তা দলীয় তকমা অতিক্রম করে জনসাধারণের আন্দোলনের মর্যাদা পায় না। সিভিল সোসাইটি-কে বাদ দিয়ে রাজনৈতিক জোট হয়, জনগণের জোট গঠন সম্ভব নয়।

দুই, জোটের কর্মকাণ্ডের দিশা নির্ণয়ে অসংগতি। আসনসংখ্যার বিচারে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়কে যত নির্ণায়ক মনে হোক, ভোটের বিচারে এই জয় তত বিশাল নয়। নির্বাচনে টিএমসি পেয়েছে ২১১টি আসন, জোট পেয়েছে ৭৭টি (৪৪+৩৩) আসন। কিন্তু ভোটের হিসেবে টিএমসি পেয়েছে ২ কোটি ৪৫ লক্ষ ভোট, জোট পেয়েছে ২ কোটি ১৫ লক্ষ ভোট। ফারাক মাত্র ৩০ লক্ষ। বিধানসভায় যত গরিষ্ঠতা থাক, রাস্তার সংগ্রামে উভয়ে তুল্যমূল্য শক্তি। এই ফলাফলের তাৎপর্য হল, অতঃপর বিধানসভার সংগ্রামের গুরুত্ব কমেছে, নির্ণায়ক হয়ে উঠেছে রাস্তার সংগ্রাম, বিশেষ করে টিএমসি শাসনে যখন বিধানসভায় সংগ্রামের সুযোগ চরম সীমিত। অথচ এখন কক্ষসমন্বয় ইত্যাদি কর্মসূচির মাধ্যমে বিধানসভাতেই জোটপন্থীদের সক্রিয়তা লক্ষণীয়, রাস্তার সংগ্রামে জোট অনুপস্থিত, সেখানে বামপন্থীরা একক কর্মসূচি নিয়ে নামছেন! জোটপন্থীরা অবশ্য বিধানসভায় ভিতর ও বাহিরের সমন্বয় সাধন করে এগোবেন, কিন্তু বিদ্যমান অবস্থায় বাম গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির একযোগে রাস্তায় নামা ছাড়া উপায় নেই।

তবে এর থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হল, জোট প্রশ্নে অহেতুক জটিলতার নিরসন। সিপিআইএম কেন্দ্রীয় কমিটির ফরমান, কেরল কমরেডদের কট্টর অবস্থান, বামফ্রন্ট শরিকদের চাপের মূলে ‘যখন যেমন, তখন তেমন’ লাইনের বহুচারী অবস্থান কোনও সমাধান নয়। প্রয়োজন রণকৌশলগত প্রশ্নে নীতিনিষ্ঠ দৃঢ় অবস্থান। রণকৌশলগত লাইনের মূল অন্তর্বস্তু হল, বাস্তব অবস্থার বাস্তব বিশ্লেষণ। তাই, দেশের ও রাজ্যের বাস্তব অবস্থা বোঝা জরুরি।

ঘটনা হল, ২০১৪ সালে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন মোদী সরকারের নয়া জমানা ইউপিএ সরকার থেকে তো বটেই, আগের অন্য যে-কোনও সরকারের থেকে ভিন্ন। এই সরকারের চিন্তাভাবনায়, চালচলনে, কাজেকর্মে এক ধরনের ফ্যাসিবাদের লক্ষণ ক্রমেই প্রকট হয়ে উঠেছে। ফ্যাসিবাদের বৈশিষ্ট্য হল, তা এক দিকে যেমন দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে আক্রমণ করে জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে, অন্য দিকে তেমনই দেশের সংস্কৃতি ও ইতিহাসকে বিকৃত করে, নিজের মর্জিমাফিক পুনর্নির্মাণ ঘটিয়ে নিজের রাজত্বকে স্থায়ী করতে চায়। এই চরিত্রলক্ষণ মোদী সরকারের গত দু’বছরের কাজকর্মে ফুটে উঠেছে। নিঃসন্দেহে এই ফ্যাসিবাদ উন্নত দেশের সনাতন ইউরোপীয় ফ্যাসিবাদ নয়, এ হল বহুধর্মের, বহুবর্ণের পশ্চাৎপদ দেশে অতীত আশ্রয়ী, সভ্যতার অগ্রগতিতে তামাদি হয়ে যাওয়া সেকেলে ভাবনার গোঁড়ামিসর্বস্ব সাম্প্রদায়িক ফ্যাসিবাদ, যা পুরাকাহিনিকে ইতিহাসের মর্যাদা দেয়, আমাদের দেশের অচল কুসংস্কার, কুপ্রথা ও খাপ পঞ্চায়েতের মতো সংগঠনগুলির পুনরুজ্জীবন ঘটায়, সাম্প্রদায়িক বিরোধে উসকানি দিয়ে দাঙ্গা বাধায়। এক দিকে অর্থনৈতিক আক্রমণ, অন্য দিকে সংস্কৃতি ও ইতিহাসের পুনর্নির্মাণ, দুইয়ে মিলে মোদী সরকারের সাম্প্রদায়িক চেহারা এখন প্রকট হয়ে পড়েছে। সর্বভারতীয় এই বাস্তবতার ভিত্তিতেই উপযুক্ত রণকৌশল প্রণয়ন জরুরি।

রাজ্যের পরিস্থিতি প্রসঙ্গে বলা দরকার যে, ইতিমধ্যেই ঝাড়খণ্ড ও অসম বিজেপি’র দখলে এসেছে, বিহার ও ওড়িশায় দলের উল্লেখযোগ্য শক্তি রয়েছে, পূর্বভারতে এই দলের অগ্রগতিতে একমাত্র কাঁটা পশ্চিমবঙ্গ। তাই এই রাজ্যে শক্তি সঞ্চয়ে বিজেপি মরিয়া হয়ে উঠেছে। এ ক্ষেত্রে মমতাদেবীই বিজেপি’র ভরসা। কারণ, উভয়ের রণনৈতিক লক্ষ্য অভিন্ন। বিজেপি’র লক্ষ্য বামপন্থীদের নিকেশ করা আর কংগ্রেসকে প্রান্তিক করা। রাজ্যে মমতার লক্ষ্য অভিন্ন। এই লক্ষ্য পূরণের জন্য উভয় দল মিলে এক বিচিত্র কৌশল নিয়েছে। কেন্দ্রে উভয় দলই সরকারের পাশে দাঁড়াবে। কিন্তু রাজ্যে টিএমসি বিজেপি’র কট্টর বিরোধিতা করে যাবে, যাতে মুসলিম ভোটব্যাংক অটুট থাকে, আবার বিজেপিও টিএমসির কট্টর বিরোধিতা করে যাবে, যাতে রাজ্যে বিরোধী দল হিসেবে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করে বিরোধী ভোটে ভাগ বসানো যায়। এই খেলায় বিজেপি’র আরও একটা লাভ হবে। মমতাদেবীর আপাত মুসলিমপ্রেমের প্রতিক্রিয়ায় যে হিন্দু প্রতিক্রিয়া হবে, তাতে হিন্দু সমাজের মধ্যে জারিত মুসলিম বিদ্বেষের ভিত্তিতে বিজেপি’র জন্য যে উর্বর জমি তৈরি হবে, তার ভিত্তিতে শক্তি সঞ্চয় করে রাজ্যে হিন্দু-মুসলিম মেরুকরণ সম্ভব এবং এ ভাবে রাজ্যে বিজেপি গেড়ে বসতে পারবে।

রাজ্যে শুধু বামপন্থীদের ঐক্য গড়ে কি এই বিপদের মোকাবিলা সম্ভব? বামপন্থীদের ঐক্য অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। দেশের রাজনীতিতে বামপন্থীদের ভূমিকা শরীরের মেরুদণ্ডের মতো, যা আকারে ক্ষুদ্র হলেও দেশের রাজনৈতিক অবয়বটিকে নানা সন্ধিক্ষণে ধরে রাখে। কিন্তু কংগ্রেসকে বাদ রেখে শুধু বাম ঐক্য দিয়ে দেশ জুড়ে বিজেপি’র এই সাম্প্রদায়িক ফ্যাসিবাদী অভিযান প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। এ কথা ঠিকই যে, নানা প্রশ্নে, এমনকী ধর্মনিরপেক্ষতার প্রশ্নেও কংগ্রেসের দুর্বলতা রয়েছে। কিন্তু এই প্রশ্নে আন্তর্জাতিক রণনীতি ও অভিজ্ঞতা বলে যে, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে সমস্ত ফ্যাসিবাদ-বিরোধী শক্তিকে, এমনকী নরম-বিরোধী, দোদুল্যমান-বিরোধীদেরও শামিল করতে হবে।

কেউ কেউ এই সাদা সত্য মানতে চাইছেন না। নির্বাচনের আগেই এসইউসি(সি) এবং সিপিআইএমএল-লিবারেশন কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের বিরোধিতা করে। নির্বাচনের পরে বামফ্রন্টের তিন বড় শরিক দল একই সুরে গাইতে থাকে। লক্ষণীয়, মমতাদেবীও একই সুরে জোটকে লাগাতার আক্রমণ করছেন। উদ্বেগের কারণ হল, জেনে হোক, না জেনে হোক, বামফ্রন্টের তিন বড় শরিক সহ এই দলগুলি মমতাদেবীর সুরেই তাল ঠুকছে!

সাম্প্রদায়িক ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের প্রয়োজনীয়তা, উপযোগিতা ও কার্যকারিতা নিয়ে মুখ খোলায় কেউ কেউ কংগ্রেস সম্পর্কে মোহ পোষণ করার অভিযোগ এনেছেন। আমি তাঁদের বলেছি যে, আমায় কংগ্রেস চেনাবেন না। আমি প্রায় সাত বছর কংগ্রেসের জেলে ছিলাম। সত্তর দশকে এক-কোমর রক্তের সমুদ্রে দাঁড়িয়ে কংগ্রেসকে চিনেছি। কিন্তু ঘরে যখন আগুন লাগে, তখন কোন জল দিয়ে আগুন নেভানো হবে, সে বিচার কেউই করে না!

পণ্ডিতদের কেউ কেউ কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের উদ্যোগকে ডাঙ্গে লাইনের প্রত্যাবর্তন বলে চিহ্নিত করেছেন, কেউ কেউ সইফুদ্দিন চৌধুরীর কথা তুলেছেন। কিন্তু আজকের পরিস্থিতি ষাটের দশকের বা ১৯৭৮ সালে জালন্ধর কংগ্রেসের সময়ের কিংবা ১৯৯৩ সালের পরিস্থিতির সঙ্গে তুলনীয় নয়। সাম্প্রদায়িক ফ্যাসিবাদের বিপদ তখন এ ভাবে ঘাড়ের ওপর এসে পড়েনি। ১৯৬৪ সালে সিপিআইএম দলের কলকাতায় সপ্তম কংগ্রেসের দলিল এই দল গঠনে ভিত্তির কাজ করেছে; এই দলিল ১৯৫৮ সালে ১২ পার্টির ঘোষণা এবং ১৯৬০ সালে ৮১ পার্টির দলিলকে ভিত্তি করে রচিত হয়েছিল। উভয় দলিলই ‘সাম্রাজ্যবাদের দ্রুত পতন’-এর লেনিনবাদী উপলব্ধিতে রচিত। তাই, দেশে চূড়ান্ত সংগ্রামে নামার কথা দলিলে লিখিত রয়েছে। কিন্তু ঘটনা হল, ‘সাম্রাজ্যবাদের দ্রুত পতন’ বাস্তবে ঘটেনি, বরং তার সংকট কাটিয়ে সাম্রাজ্যবাদ টিকে গেছে। সাম্রাজ্যবাদ আবার অনিবার্য সংকটে পড়বে এবং তখন আবার চূড়ান্ত সংগ্রাম অনিবার্য হবে, কিন্তু আজকের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে চূড়ান্ত সংগ্রামে নামার তত্ত্ব অচল। সেই হিসেবে ১৯৬৪ সালের দলিলের ভিত্তিতে অগ্রসর হলে চূড়ান্ত পরাজয় ছাড়া কিছু মিলবে না। এই দলিল ষাটের দশকের চাহিদা পূরণ করেছে, কিন্তু মৌলবাদী অবস্থান নিয়ে তা ধরে বসে থাকলে কাজের কাজ কিছুই হবে না। অনুরূপ ভাবে, ১৯৭৮ সালে জালন্ধর কংগ্রেসের দলিলের ভিত্তিতেও আজকের বাস্তবতার বিচার সম্ভব নয়।

সন্দেহ নেই, এই সমস্যার সমাধান সিপিআইএমের কাছে জীবনমরণের প্রশ্ন। কিন্তু জোড়াতালি দিয়ে এই সমস্যার সমাধান মিলবে না। ইতিমধ্যেই নির্ণীত লাইনের ভিত্তিতে সমাধান সম্ভব নয়। তাই এর সমাধান দলের পলিটব্যুরো বা কেন্দ্রীয় কমিটির কম্মো নয়। সমস্ত পরিস্থিতি বিচার-বিশ্লেষণ করে নতুন বাস্তবতায় নতুন অবস্থান নির্ধারণ, নতুন রণকৌশল প্রণয়ন জরুরি হয়ে উঠেছে। পার্টি কংগ্রেস ডাকার সময়সীমা বা আনুষ্ঠানিকতা বাদ দিয়ে বা বৃথা আত্মঘাতী বিতর্ক পরিহার করে, যত শীঘ্র সম্ভব দলীয় কংগ্রেস আহ্বানই এখনকার অ্যাজেন্ডা। এই সত্য সিপিআইএম নেতারা যত শীঘ্র বোঝেন, ততই মঙ্গল— দলের পক্ষে এবং দেশের পক্ষেও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE