ইউপিএসসি-র সিভিল সার্ভিস অ্যাপটিটিউড টেস্ট (সিস্যাট)-এর দিন বদলের আর্জি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। শনিবার এক রায়ে বিচারপতি জগদীশ সিংহ খেরারের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, প্রায় ৯ লাখ পরীক্ষার্থী রবিবার এই পরীক্ষা দেবেন বলে প্রস্তুত। শেষ মুহূর্তে তাই পরীক্ষা স্থগিত করা সম্ভব নয়। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের ওই ডিভিশন বেঞ্চে সিস্যাট-এর প্রিলিমিনারি পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার জন্য একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। অগ্নেশ কুমার নামের ওই আবেদনকারীর দায়ের করা মামলার এ দিনই শুনানি ছিল।
সম্প্রতি সিস্যাট পরীক্ষা অসাম্য তৈরি করছে, এই যুক্তিতে তা বাতিলের দাবি তুলেছিল হিন্দিভাষী পরীক্ষার্থীদের একাংশ। তাঁদের মতে, ওই পরীক্ষায় যে ধরণের প্রশ্ন আসে তাতে ইংরেজি মাধ্যম এবং ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ছাত্রছাত্রীরা বাড়তি সুবিধা পায়। হিন্দিভাষী রাজ্যগুলিতে বিক্ষোভ দেখানো শুরু হয়। কেন্দ্রীয় সরকার এই দাবির কাছে কিছুটা হলেও মাথা নোয়ায়। চলতি মাসের প্রথম দিকে কেন্দ্রীয় কর্মীবর্গ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ ঘোষণা করেন, ইংরেজি নিয়েই যখন সমস্যা, তখন সিস্যাটে ইংরেজি ভাষার (ইংরেজি ল্যাঙ্গুয়েজ কমপ্রিহেনশন স্কিল) অংশে প্রাপ্ত নম্বর সামগ্রিক ফলের সঙ্গে যোগ করা হবে না।
এই নিয়ম হিন্দিভাষী পরীক্ষার্থীদের খুশি করলেও প্রশ্ন তোলেন অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষার পরীক্ষার্থীরা। তাঁদের দাবি, ২২টি আঞ্চলিক ভাষার ছাত্রছাত্রীদেরই এই সুবিধার আওতায় আনতে হবে। প্রতিবাদ জানাতে তাঁরা রাজধানীতে বিক্ষোভ দেখান। হিন্দিভাষীদের কথা কেন্দ্র বিবেচনা করায় চুপ করে গিয়েছিল সপা, জেডিইউ বা বিএসপি-র মতো দলগুলি। কিন্তু নতুন বিতর্কে অংশ নেয় তৃণমূল, বিজেডি, ডিএমকে, এআইডিএমকে বা টিআরএস-এর মতো দলগুলি। এদের প্রতিবাদে দফায় দফায় মুলতুবি হয়ে যায় লোকসভার অধিবেশন।
এ সবের মধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে ২৪ অগস্টের পরীক্ষা বাতিল করে তা পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। এ দিন সেই আবেদনই খারিজ করল শীর্ষ আদালত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy