গ্বালিয়রের এক মহিলা বিচারককে যৌন হেনস্থার অভিযোগে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের এক বিচারপতির বিরুদ্ধে নোটিস জারি করল সুপ্রিম কোর্ট। হাইকোর্ট নিযুক্ত কমিটিকেও আপাতত তদন্ত বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
চলতি মাসের গোড়ায় মধ্যপ্রদেশের এক মহিলা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে চিঠি লিখে কর্মক্ষেত্রে যৌন হেনস্থার অভিযোগ করেন। তাঁর অভিযোগ ছিল হাইকোর্টের এক বিচারপতির বিরুদ্ধে। অভিযোগকারিণী নিজে কর্মক্ষেত্রে যৌন নিগ্রহ রুখতে জেলাস্তরের বিশাখা কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন। চিঠিতে তিনি অভিযোগ করেন, কর্মক্ষেত্রে হেনস্থার পাশাপাশি বিচারপতি তাঁকে বাড়িতে একা দেখা করতে বলতেন। অভিযুক্তের নির্দেশে তিন বিচারবিভাগীয় অফিসারও তাঁকে হেনস্থা করতেন বলে অভিযোগ করেন ওই মহিলা বিচারক। বাধ্য হয়ে চাকরি থেকে ইস্তফা দেন তিনি। ঘটনাটি জানাজানি হতেই নিন্দায় মুখর হয় বিভিন্ন সংগঠন। বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদও। ঘটনাটিকে দুঃখজনক ও দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, “ভারতের নাগরিক হিসেবে আমি চাই বিষয়টি নিয়ে স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ তদন্ত হোক। অভিযোগ প্রমাণিত হলে মাননীয় প্রধান বিচারপতি নিশ্চয়ই যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন।” লোকসভায় সোচ্চার হন বিজেপি নেত্রী মীনাক্ষী লেখি। অবশ্য নিজের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দেন অভিযুক্ত বিচারপতি। দোষী প্রমাণিত হলে মৃত্যুদণ্ডেও যে রাজি তা-ও জানান তিনি। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তে ৮ অগস্ট একটি কমিটি গঠন করেন মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। কিন্তু সেই কমিটির প্রতিই অনাস্থা জানিয়ে গত মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন ওই মহিলা বিচারক। যে বিচারপতির বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ কমিটিতে তাঁরই সহকর্মীর থাকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। শুক্রবার অভিযুক্ত বিচারপতিকে নোটিস পাঠানোর পাশাপাশি হাইকোর্ট নিযুক্ত কমিটিকেও আপাতত কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy