Advertisement
১৮ মে ২০২৪

হাওড়ায় বন্ধ ফ্ল্যাটে গৃহবধূর পচাগলা দেহ, অভিযুক্ত স্বামী

কয়েকদিন ধরেই দিদি-জামাইবাবুকে ফোনে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না ভাই সৌরভ ঝা। ফ্ল্যাটে বাইরে থেকে তালা লাগানো থাকায় বারবার দিদির খোঁজে এসে ফিরে যেতে হয়েছে তাঁকে। রবিবার সকালে অবশেষে সেই বন্ধ ফ্ল্যাট থেকেই দিদি শিখা ঝা-এর পচাগলা দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার গোলাবাড়ি থানার কিনস রোডে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
হাওড়া শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০১৫ ১৬:৪৮
Share: Save:

কয়েকদিন ধরেই দিদি-জামাইবাবুকে ফোনে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না ভাই সৌরভ ঝা। ফ্ল্যাটে বাইরে থেকে তালা লাগানো থাকায় বারবার দিদির খোঁজে এসে ফিরে যেতে হয়েছে তাঁকে। রবিবার সকালে অবশেষে সেই বন্ধ ফ্ল্যাট থেকেই দিদি শিখা ঝা-এর পচাগলা দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার গোলাবাড়ি থানার কিনস রোডে। বছর ত্রিশের গৃহবধূ শিখাদেবীর পরিবারের তরফ থেকে এ দিনই গোলাবাড়ি থানায় তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও এ দিন বিকেল পর্যন্ত স্বামী লালকুমার ঝা এর খোঁজ মেলেনি বলে পুলিশ জানিয়েছে।

পুলিশ সূত্রের খবর, বছর খানেক আগে কিনস রোডের একটি আবাসনের দোতলার ফ্ল্যাট কেনেন শিখাদেবীরা। তাঁর স্বামী লালকুমার সেনাতে কাজ করেন। তিনি বর্তমানে মথুরায় পোস্টিং। সে কারণে স্বামীর অনুপস্থিতিতে শিখাদেবী বাপের বাড়ি লিলুয়ায় থাকতেন। স্বামী ফিরলে তিনিও এই ফ্ল্যাটে আসতেন। পুলিশ জানিয়েছে, গত ২ তারিখে লালকুমারের সঙ্গে শিখাদেবী ওই ফ্ল্যাটে আসেন। কিছু পরে ফোন করে ভাই সৌরভকেও ডেকে নেন তিনি। সৌরভবাবু জানান, ওই দিন কাজের জন্য তিনি বাইরে বেরিয়েছিলেন। রাত হয়ে যাওয়ায় আর দিদির ফ্ল্যাটে ফিরতে পারেননি। দিদি ও জামাইবাবু দু’জনের মোবাইল বন্ধ থাকায় তাঁর না ফেরার বিষয়টি তিনি দিদিকে জানাতে পারেননি। পরের দিন তিনি দিদির ফ্ল্যাটে গিয়ে দেখেন দরজায় তালা দেওয়া।

এর পর রোজই তিনি দিদির খোঁজে ফ্ল্যাটে এসেছেন, মোবাইলে ফোন করেছেন। কিন্তু কোনওভাবেই দিদি শিখাদেবীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। পরে ফ্ল্যাট থেকে পচা গন্ধ বেরোতে দেখে সন্দেহ হয় তাঁর। ফ্ল্যাটের মালিককে ডেকে দরজা খুললে শিখাদেবীর পচাগলা দেহ দেখতে পান তিনি।

পুলিস সূত্রের খবর, শিখাদেবীর মৃতদেহটি কাপড় জড়ানো অবস্থায় খাটের তলায় রাখা ছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ৩ দিন আগে শিখাদেবীকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, বিয়ের পর থেকেই নানা কারণে শিখাদেবীকে সন্দেহ করত লালকুমার। এই নিয়ে মাঝে মধ্যেই দু’জনের ঝামেলা হত। সে কারণেই তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে পুলিশের অনুমান। লালকুমারের খোঁজ চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE